১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৪৩:৪২ অপরাহ্ন


বিটের রসের গুণেই দূরে থাকবে যত রোগ-ব্যাধি!
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
বিটের রসের গুণেই দূরে থাকবে যত রোগ-ব্যাধি! ফাইল ফটো


দৈনন্দিন জীবনে হাজার রকম অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার কারণে ঘরে ঘরে এখন মানুষ বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ছেন। কেউ ভুগছেন ডায়াবেটিসে, কেউ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়, কারুর উচ্চ কোলেস্টেরল। অনেকের শরীরে আবার একসঙ্গে এই সব রোগ বাসা বেঁধেছে।

রোগবালাইয়ের কবল থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে রোজের রুটিনে কিছু বদল আনা জরুরি, বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাসে।

কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় থেকে বাদ দেওয়া প্রয়োজন, আবার কিছু খাবার রোজকার ডায়েটে যোগ করা আবশ্যক। যেমন - সকালে উঠে চা অথবা কফির বদলে এক গ্লাস বিটের রসে চুমুক দিলেই কিন্তু অনেক অসুখ ঠেকিয়ে রাখতে পারেন!

বিটের খ্যাতি তার গাঢ় রঙের জন্য। যে কোনও রান্নায় এক টুকরো বিট পড়লে সেই পদটি বিটের রং নিয়ে নেয়। তবে এই সবজির মধ্যে কিন্তু স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। রোজ সকালে যদি বিটের রস বানিয়ে খেতে পারেন, তাহলেই কিন্তু শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা থেকে হার্ট ভাল রাখা, শরীর সুস্থ রাখতে বিটের রসের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেও কিন্তু বিট বেশ কার্যকরী।

রক্তচাপ কমায়: বিটের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রিক অক্সাইড। যা রক্তনালিগুলির মুখ খুলে দেয় এবং রক্তচাপের মাত্রা কমায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে শরীরে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়ম করে রোজ বিটের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, আর শরীরও থাকে চাঙ্গা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর, সর্দি, কাশি এখন ঘরে ঘরে। এই সময়ে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে, শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে বিটের রস খেতে পারেন। বিটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ত্বকের জন্য ভাল: বিটে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক সুস্থ রাখে, জেল্লা বাড়ায়। ত্বকের দাগ-ছোপ, শুষ্কভাব, বলিরেখার মতো সাধারণ সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে এই সবজি। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন বিটের রস।

চুল পড়ার সমস্যা কমে: বিটের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি। এই সব উপাদান চুল ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু চুল পড়া কমায় না, পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে বিটের রস।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে: বিটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণও রয়েছে। তাই, শারীরিক প্রদাহ কমাতে নিয়মিত বিটের রস পান করতে পারেন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে: বিটে থাকা নাইট্রেট শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কেও রক্ত চলাচল ভাল হয়, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন নিয়ম করে বিটের রস খেলে স্মৃতিশক্তিও ভাল থাকে। এছাড়া, বিটে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট থাকে যা কোষের বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতায় সাহায্য করে, যার ফলে রক্তনালির ক্ষতি হয় না।

হজমশক্তি বাড়ায়: আপনি কি ঘন ঘন হজমের সমস্যায় ভোগেন? তাহলে রোজ পান করুন বিটের রস। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) প্রতিরোধে সাহায্য করে। কোলন ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।