২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৩৫:১৮ অপরাহ্ন


শিশুদের মনে বড় হওয়ার সাহস জাগিয়ে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর :
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১০-২০২৩
শিশুদের মনে বড় হওয়ার সাহস জাগিয়ে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : সংগৃহিত ছবি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের মনে বড় হওয়ার স্বপ্ন ও সাহস জাগিয়ে দিতে সরকার সব সময় বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সুশিক্ষা ও সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
আজ ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের শিশুদেরকে জানাই আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। আমরা ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন ২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছি। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদ্যাপন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সরকার শিশুদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য তথ্য-প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার উপযোগী সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সব সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আজকে যারা শিশু, তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হবে ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ এর সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
দেশে কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশে আর কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নগর ও গ্রাম অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আজ বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ের জন্য যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন : মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতু প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বিভিন্ন উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নগরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, শহরগুলো হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দু। নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল নয় বরং এর প্রকৃত চালিকাশক্তি। শহরগুলোর প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্থিতিশীল নগর অর্থনীতি অপরিহার্য।
আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আজ ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত। গত এক দশকেরও বেশি সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা। দিনটি উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর আয়োজনে আজ দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদযাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। একই সময়ে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর।