খারাপ কোলেস্টেরল আপনার শরীরের জন্য কোনও বড় বিপদের চেয়ে কম নয়, তাই যদি এটিকে সময়মতো শনাক্ত এবং নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে এটি শিরায় জমা হয়ে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এবং তারপরে এটি হাই বিপি অর্থাত্ উচ্চ রক্তচাপের জন্ম দেয়।
এরপর করোনারি আর্টারি ডিজিজ, ট্রিপল ভেসেল ডিজিজ এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক রোগও থাবা বসাতে পারে শরীরে। এমনকি কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও তৈরি হয়। এসব থেকে একটি গোলাপি ফল আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে। এই গোলাপি ফল হল ড্রাগন ফল।
বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস জানান, ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে তা রক্তে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে এবং আরও নানাভাবে শরীরের উপকার করবে।
ড্রাগন ফলের স্বাদ অসাধারন এবং দেখতেও খুব আকর্ষণীয় হয় । এই ফল ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। এছাড়াও এই গোলাপি ফলটিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন, প্রোটিন, থায়ামিন এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা:
১. কোলেস্টেরল কম করে: ড্রাগন ফল পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এলডিএল (LDL)- এর মাত্রা অর্থাত্ খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। তাই এই গোলাপি ফলটি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২.হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে: ড্রাগন ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে এবং ধমনীর শক্ততা কমায়, যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও এই ফলটিতে সঠিক পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়।
৩.ডায়াবেটিসে কার্যকরী: ড্রাগন ফল রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, ফলত এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী, একথা বলাই যায়। এতে রয়েছে পলিফেনল, থিওলস, ক্যারোটিনয়েড এবং গ্লুকোসিনোলেট যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে হাই ফাইবার রয়েছে, যা খাবারের পরে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে।