নরসিংদীতে দশম শ্রেণির ছাত্র শহিদুজ্জামান ফয়সালকে (১৬) হত্যার দায়ে আশিক নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার ১৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ মোসতাক আহমেদ এ রায় প্রদান প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলা মোড়স্থ সরকালি স্টাফ কোয়াটারে বসবাসকারী আব্দুস সামাদের ছেলে শহিদুজ্জামান ফয়সালকে তার বন্ধু সানি ফোন করে ডেকে নেয়। তারা দাসপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা আশিকসহ ১০-১৫ জন যুবক ধারাল অস্ত্র দিয়ে সানিকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এ সময় সানির বন্ধু শহিদুজ্জামান ফয়সাল সানিকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক যখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সানি ও ফয়সালকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ফয়সালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে ১৩ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
উক্ত মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামি আশিক দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাপলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মু. ফজলুল হক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
রাজশাহীর সময় /এইচ
