ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষের জীবন। জীবনে যেমন সুসময় আসে, মাঝে মাঝে দুঃসময়ও আসে। অনেক সময় কঠিন বিপদ-আপদে পড়ে আমরা অসহায় বোধ করি। এ রকম সময়ে বিশ্বাসী মুমিন হিসেবে আমাদের আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।
কোরআনে আল্লাহ তার কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। (সুরা বাকারা: ১৫৩)
রাসুল (সা.) কোনো বিপদে পড়লে দ্রুত নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বিপদের সময় সালাতুল হাজত পড়ে দোয়া করার পরামর্শ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে অথবা তার কোন সৃষ্টির কাছে কারো কোনো প্রয়োজন থাকলে, সে যেন অজু করে দু রাকআত নামাজ আদায় করে এবং বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ أَسْأَلُكَ أَلاَّ تَدَعَ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا لِي
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা ও আযায়িমা মাগফিরাতিকা ওয়াল-গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিন ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা’ লি যাম্বান ইল্লা গাফারাতহু ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাঝতাহু ওয়া লা হাজাতান হিয়া লাকা রিদান ইল্লা ক্বাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ: পরম সহনশীল ও দয়ালু আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ অতি পবিত্র। সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে অবধারিত রহমত, তোমার অফুরন্ত ক্ষমা, সকল সদাচারের ভান্ডার এবং প্রতিটি পাপাচার থেকে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। আমি তোমার কাছে আরো প্রার্থনা করি যে, তুমি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দাও, আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দাও, তোমার সন্তুষ্টিমূলক প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করে দাও।
তারপর সে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য যা চাওয়ার আছে তা প্রার্থনা করবে। কারণ তা আল্লাহই নির্ধারণ করেন। (সুনানে তিরমিজি)
সালাতুল হাজত নামাজ দুই রাকাত বা চার রাকাতও পড়া যায়। নামাজের পর উল্লিখিত দোয়া পড়ে নিজের প্রয়োজনের কথা আল্লাহর দরবারে তুলে ধরতে হবে।