মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান। এজন্য একটি বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শনিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশে অবস্থিত জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদ ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভাকক্ষে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ইআরডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজক্টের জন্য এই ঋণ দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। ঋণ চুক্তিটির আওতায় পাওয়া ঋণের বার্ষিক সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য এক দশমিক ৬০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ, ফ্রন্ট ইন্ড ফি (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ দিতে হবে। এছাড়া এই ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (রেয়াতকাল) ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট) আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৪০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি তিন লাখ টাকা এবং সিপিজিসিবিএল সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫২৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এটির বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। জাইকা এ প্রকল্পে পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।