২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন


স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৩-২০২২
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ফাইল ফটো


বাগেরহাটের রামপালে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী এমদাদুল ওরফে ইমদাদ সরদারকে (২৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৯ মার্চ) ঘটনার ৬ বছর পর বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

ইমদাদ সরদারের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামে।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল গৌরম্ভা গ্রামের ইমদাদ সরদারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার কেশরামপুর গ্রামের আবুল বাশার ফকিরের মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মনিরা শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। ইমদাদ বেকার থাকায় বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য মনিরাকে চাপ দিতে থাকেন। মাঝে মধ্যে শারীরিক নির্যাতনও করতেন।

এক পর্যায়ে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাতে মনিরা মারা যান। পরে পুলিশ মনিরার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করা হয় এবং থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর মনিরার বাবা বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজিত কুমার মণ্ডল বলেন, আদালত মনিরার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামপাল থানাকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মনিরাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক দল। 

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিলে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ইমদাদ সরদারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।

পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

রাজশাহীর সময় /এএইচ