প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান তুরাগ নদ প্রান্তে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীতে এমন আয়োজন দেখতে মোহাম্মদপুর, বসিলা ও আশপাশের এলাকা থেকে তুরাগ নদের পাড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। আবালবৃদ্ধ-বনিতা নদীর পাড়ে ছুটে আসেন নৌকা বাইচ উপভোগ করতে।
দর্শনার্থীরা জানান, গ্রাম বাংলার নৌকা বাইচ শহরের নদীঅঞ্চলে তেমন একটা দেখা যায় না। বিশেষ করে রাজধানীতে কেউ এটা আশাই করাতে পারে না। একদিকে মৃতপ্রায় বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে তুরাগসহ নদও মরতে বসেছে। বর্ষা আসলে নদীতে পানির ঢেউ দেখা যায়। মৃতপ্রায় এই নদীতে নৌকার বাইচ দেখে মনে হলো এটি ইট-পাথরের নগরীর বাসিন্দাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
ঢাকা উদ্যান এলাকার বাসিন্দা জেরিন আহমেদ জানান, আমরা কখনও এই নদীতে নৌকা বাইচ দেখিনি। এবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই নৌকা বাইচ আমাদের স্বস্তি এনে দিয়েছে। আমরা চাই, নদী নিয়ে কাজ করা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রতিবছর নৌকা বাইচের আয়োজনের মতো এমন উদ্যোগ নিবে।
চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন জানান, এই নদীতে মানুষ ময়লা-আবর্জনা ফেলে নোংরা করে ফেলেছে। শীত আসলে নদীটি মৃতপ্রায় হয়ে যায়। আশপাশে পানির দুর্গন্ধে থাকা যায় না। এবারের নৌকা বাইচের আয়োজনের মতো আমরা চাই প্রতিবছর এমন আয়োজন করা হোক।
এবারের নৌকা বাইচে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, ধলেশ্বরী, ইছামতি, কর্ণফুলী, সুরমা, কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, ডাকাতিয়া, বংশী ও বালু নদের নামে মোট বারটি দল অংশ নেয়।
নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।