কঙ্গনার মুড আর দেশের জলবায়ু। যেন একই। কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি। কঙ্গনার মনও তাই। কখনও সবুজ, তো কখনও আগুনের মতো উজ্জ্বল। কখনও কারও প্রেমে পড়েন, কখনও সুযোগ পেলেই বলিউডের তারকাদের একহাত নেন। কঙ্গনা এমনই। এই যেমন দেখুন এতদিন মোদি ও গেরুয়া শিবির নিয়ে সদাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন কঙ্গনা। আর এবার হঠাৎ করেই রাজনীতি থেকে বিমুখ!
হ্য়াঁ, সম্প্রতি কঙ্গনা এমনটাই করলেন। স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন রাজনীতি থেকে তিনি থাকছেন শতহস্ত দূরে। আপাতত অভিনয়, সিনেমা পরিচালক ও প্রযোজনার কাজেই মন দিতে চান।
কঙ্গনা এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ”দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা কথা বলার ফলে অনেকেই মনে করেছিল। আমি অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেব। কিন্তু সেরকমটা নয়। বরং আমি আমার জীবন নিয়ে ভালই আছি। সিনেমা নিয়েই থাকতে চাই।”
প্রসঙ্গত, খালিস্তানি সন্ত্রাস বিতর্কে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর বেড়েই চলেছে। দুদেশের সংঘাতের সুযোগ লুফে নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াতে যখন ব্যস্ত পাকিস্তান, তখন মধ্যস্থতা করতে আসরে নেমেছে আমেরিকা। এবার সেই ইস্যুতেই শিখ সম্প্রদায়ের (Sikh উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা কঙ্গনা রানাউতের।
২০২১ সালে দীর্ঘদিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। এমনকী মোদির তিন কৃষি বিল প্রত্যাহারকে সমর্থন করে সেইসময়ে শিখ কৃষকদের আন্দোলনকে ‘জেহাদ’ বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যে বিতর্কিত মন্তব্যের মাশুলও গুনতে হয়েছিল কঙ্গনাকে। ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিল তাঁর গাড়ি। এবার খালিস্তানি সন্ত্রাস নিয়ে যখন ভারত-কানাডার মধ্যে টানাপোড়েন চলছে, তখন আবারও শিখ সম্প্রদায়কে টেনে মন্তব্য কঙ্গনা রানাউতের।
অভিনেত্রীর মন্তব্য, “শিখ সম্প্রদায়ের উচিত নিজেদেরকে খালিস্তানিদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া এবং অখণ্ড ভারতের সমর্থনে আরও শিখদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমি খালিস্তানি সন্ত্রাস নিয়ে প্রতিবাদ করেছি বলে শিখ সম্প্রদায় আমাকে বয়কট করেছে এবং তাঁরা পাঞ্জাবে আমার সিনেমার বিরুদ্ধে মারাত্মক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। এটা কিন্তু ওদের তরফে মোটেই ভাল আচরণ নয়।”