সারা দেশে যথযাথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
এর পরের দুই দিন (২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর) শুক্র ও শনিবার হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার টানা তিনদিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তবে বেসরকারি চাকরিজীবীরা টানা দুদিন ছুটি পাবেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হয়। সভায় জানানো হয়, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির দিন এবং দেশের মুসলমানরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন।
১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তার মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদগুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তার ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।