চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি মনে করছে, সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে অজ্বালানি পণ্যের দাম কিছুটা কমার কারণে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে। গতকাল প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সেপ্টেম্বর-২০২৩ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই সরকার তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে (অর্থনৈতিক কার্যাবলি) পরিচালনা করছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমালোচনামূলক সংস্কারের অগ্রগতি হয়েছে। তার মতে, কাঠামোগত সংস্কারের মধ্যে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বাড়ানো, সরবরাহের উন্নতি ঘটানো এবং আর্থিক খাতকে আরও দৃঢ় করার বিষয় ছিল। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করছে। এই সময়ে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। মাঝে কিছুটা নিম্নমুখী হলেও আগস্ট মাসে আবারও বেড়ে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে উঠে যায়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে এডিবি। এর আগে গত জুলাইয়ে প্রকাশিত আউটলুকেও এডিবি সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল