প্রথম পাতে তেঁতো রাখার চল বাঙালিদের মধ্যে পুরনো। কিন্তু এই তেঁতো স্বাদের জন্য অনেকেই করলার তৈরি পদ খেতে পছন্দ করেন না। তবে, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হলে আপনাকে তেঁতোর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেই হবে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের করলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তেঁতো স্বাদ হলেও করলা ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এতে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সুগার লেভেল ঠিক রাখা ছাড়াও এই সবজির আরও গুণ রয়েছে।
প্রতিদিন করলা সেদ্ধ কিংবা করলা জুস পান করে আপনি ওজনও কমাতে পারেন। এই সবজি আপনার মেটাবলিক হার বাড়ায় এবং এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এতে হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং ওজন কমানো সহজ হয়।
করলা পুষ্টির ভাণ্ডার। এই সবজির মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফোলেট ও আয়রন রয়েছে। তাই রোজ করলা খেলে আপনার দেহে পুষ্টি ঘাটতি তৈরি হবে না। পাশাপাশি বাড়বে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ করলা। এতে ফ্ল্যাভনয়েড ও পলিফেনল নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। এতে আপনি রোগমুক্ত জীবন কাটাতে পারেন।
ফাইবার থাকায় করলা খেলে হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় না। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সাহায্য করে। তাই পেটের গণ্ডগোল রুখতেও আপনি করলা খেতে পারেন।
করলা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যও উপযোগী। এই সবজি খেলে আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সহজেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।
প্রতিদিন করলার রস পান করলে এটি দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে লিভারের পাশাপাশি ত্বকও ডিটক্সিফাই হয়। এতে ত্বকও সুস্থ থাকে এবং আপনি ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যা থেকেও দূরে থাকতে পারেন।