২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন


আমলকি উপকারী, তবে বেশি খেলেই বিরাট ক্ষতি হবে স্বাস্থ্যের!
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২৩
আমলকি উপকারী, তবে বেশি খেলেই বিরাট ক্ষতি হবে স্বাস্থ্যের! ফাইল ফটো


ত্বক-চুল থেকে স্বাস্থ্য, সবের দিকেই নজর দেয় আমলকি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। যে কারণে আমলকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়, পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই নিয়মিত এই ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা।

কিন্তু এই উপকারী ফলটিও কিছু ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমলকি খেলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। জেনে নিন, আমলকি বেশি খেলে কী কী সমস‍্যা হতে পারে।

হজমের সমস্যা: হজমক্ষমতা ভাল রাখার জন‍্য আমলকির উপর ভরসা করেন অনেকে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে নিলে বদহজম, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা এবং গ‍্যাস-অম্বলের কারণ হয়ে উঠতে পারে এই ফল। তাছাড়া, আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে আমলকি খাওয়াই ভাল।

কিডনি স্টোন হতে পারে: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে। অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করে। তাই আমলকি বেশি না খাওয়াই ভাল।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া: রক্তে শর্করার পরিমাণ বা ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়া যেমন খারাপ, তেমনই মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়াও কিন্তু বিপজ্জনক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এই ফল। তবে রোজ অত্যধিক আমলকি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটা কমে যেতে পারে, যাকে চিকিত্‍সার পরিভাষায় বলে 'হাইপোগ্লাইসেমিয়া'। এতে কিন্তু শরীরের ক্ষতিই হয়। তাই বেশি আমলকি খাওয়া উচিত নয়। তাছাড়া, যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ এমনিতেই কম, তাঁদের আমলকি না খাওয়াই ভাল।

রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। নয়তো এর হাত ধরেই জন্ম নিতে পারে হৃদ্‌রোগ। যাঁদের হাই ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপের মাত্রা বেশি, তাঁদের আমলকি না খাওয়াই ভাল। কারণ এই ফল বেশি খেলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এর ঝুঁকি কমাতে আমলকি থেকে দূরে থাকুন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা। 

দাঁতের সমস্যা: আমলকির উচ্চ অম্লভাব দাঁতের এনামেলের ক্ষয় ঘটাতে পারে। ফলে ক্যাভিটি এবং টুথ সেনসিটিভিটির মতো দাঁতের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই কাঁচা আমলকি খাওয়ার পরে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া, শুকনো আমলকি খেতে পারেন। এগুলির অম্লভাব কম থাকে।

রক্ত পাতলা হয়ে যায়: আমলকিতে আছে অ্যান্টিপ্লেটলেট বৈশিষ্ট্য, যা রক্ত পাতলা করতে পারে এবং রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমায়। কিন্তু যাঁদের রক্তপাতের ব্যাধি বা রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাঁদের আমলকি না খাওয়াই ভাল। তা হলে রক্ত আরও পাতলা হয়ে যেতে পারে। একটু কেটে, ছড়ে গেলেও রক্তপাত বন্ধ হতে সমস্যা হতে পারে।

দিনে কতটা পরিমাণ আমলকি খাওয়া যেতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১-২টি কাঁচা আমলকি খাওয়া যেতে পারে। এতেই আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ফাইবার সরবরাহ হবে।