রাসুল (সা.) বলেছেন,
مَنْ صَلَّى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ بُنِيَ لَهُ بِهِنًّ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ
যে ব্যক্তি প্রতিদিন ও রাতে বারো রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। (সহিহ মুসলিম: ৭২৮)
এ হাদিস সম্পর্কিত ৩টি শিক্ষা:
১. হাদিসে উল্লিখিত ১২ রাকাত নামাজ আমাদের কাছে সুন্নাতে মুআক্কাদা নামে পরিচিত। সুনানে তিরমিজির বর্ণনায় বিস্তারিত উল্লিখিত রয়েছে ওই ১২ রাকাত নামাজ কখন কীভাবে আদায় করতে হবে। নবিজি (সা.) বলেছেন,
أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمغرب وَرَكْعَتَيْنِ بعد الْعشَاء وَرَكْعَتَيْنِ قبل صَلَاة الْفَجْرِ
চার রাকাত জোহরের ফরজের আগে, দুই রাকাত জোহরের ফরজের পরে, দুই রাকাত মাগরিবের ফরজের পরে, দুই রাকাত ইশার ফরজের পরে আর দুই রাকাত ফজরের ফরজের আগে আদায় করতে হবে। (সুনানে তিরমিজি: ৪১৫)
প্রতিদিন ফরজ নামাজের সাথে এই সুন্নাত নামাজগুলো আদায় করলে হাদিসে উল্লিখিত সওয়াব ও নেয়ামত আমরা লাভ করতে পারবো।
২. এই ১২ রাকাত নামাজ নিয়মিত আদায় করা উচিত। কখনও ছুটে গেলে পরে পড়ে নেওয়া উচিত। যেমন কেউ যদি ফজরের ফরজ নামাজের আগে দুই রাকাত সুন্নাত না পড়তে পারে, তাহলে ফরজ নামাজের পরে পড়ে নেবে অথবা সূর্য ওঠার পর পড়ে নেবে, জোহরের ফরজ নামাজের আগের চার রাকাত সুন্নাত ফরজের আগে পড়তে না পারলে পরে পড়বে।
৩. সাহাবি ও তাবেয়িরা এই ১২ রাকাত নামাজকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। কখনও এই নামাজ ছাড়তেন না। হাদিসটির বর্ণনাকারী সাহাবি উম্মুল মুমিনিন উম্মে হাবিবা (রা.) বলেন, আমি রাসুলের (রা.) কাছ থেকে এই কথা শোনার পর কখনও এই ১২ রাকাত নামাজ ছাড়িনি। তার ভাই আনবাসা ইবনে আবু সুফিয়ান যিনি উম্মে হাবিবা থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তিনিও বলেন, আমি উম্মে হাবিবার কাছে এই হাদিসটি শোনার পর কখনও এই ১২ রাকাত নামাজ ছাড়িনি। হাদিসটির বর্ণনাকারী আমর ইবনে আওস ও নোমান ইবনে সালেমও একই কথা বলেছেন। সুতরাং আমাদেরও এই ১২ রাকাত নামাজকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ও নিয়মিত আদায় করা উচিত।