চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টাকার লোভে নিজের ১০ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে দিয়েছে বখাটের হাতে। আর প্রতিদিনই মায়ের সহযোগিতায় ওই শিশুকন্যাকে বারবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী ধর্ষক ও মাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আটক মায়ের নাম মাসুদা খাতুন (৫০)। তিনি নোয়াখালী সদর থানার মধ্যম চরুলিয়া গ্রামের মৃত জাকের হোসেন প্রকাশ আবু জাকেরের স্ত্রী। আর ওই বখাটে হলেন ডেকারেশন কর্মী মো. ইব্রাহিম (৩২)। সে বাঁশবাড়িয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনাবাদ এলাকার আমজাদ আলী সেরাং বাড়ির ফাতেমা বেগমের ভাড়াটি মাসুদা খাতুনের সাথে কিছুদিন পূর্বে পরিচয় হয় ইব্রাহিমের। পরিচয় সূত্রে মাসুদাকে খালা ডেকে ইব্রাহিম প্রায়ই তার বাড়িতে রাত্রি যাপন করত এবং মাসুদাকে টাকা পয়সা দিতো। এতে মাসুদা তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ার সুযোগে সে রাত্রিযাপনকালে তার ১০ বছর বয়সী মেয়েকে বারবার ধর্ষণ করতে থাকে। এতে মেয়েটি প্রচণ্ড ব্যাথা ও রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে মাকে ধর্ষণের কথা জানালেও মা তাকে চুপ থাকতে ভয়ভীতি দেখাত। ’
‘এক পর্যায়ে ব্যাথা-বেদনা সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি মেয়েটি ইব্রাহিম কর্তৃক নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষিত হবার কথা তার ভাবী লাইলী বেগম (২২)সহ প্রতিবেশীদের জানালে তারা ইব্রাহিমকে ধরতে অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে শনিবার রাতেও ইব্রাহিম ওই বাড়িতে আসলে প্রতিবেশিরা মেয়েটির মা ও ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার ইব্রাহীম ও ওই শিশুর মা। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর