০৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০১:০৩:৩৪ অপরাহ্ন


কোচিং সেন্টারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৯-২০২৩
কোচিং সেন্টারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ কোচিং সেন্টারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ


পাবনার ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোডের একটি কোচিং সেন্টারে ছেলের শিক্ষকের খোঁজ নিতে যাওয়া নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কোচিং সেন্টারের মালিককে গ্রেফতার করেছে এবং তার অন্য সহযোগীদের খুঁজছে।

জানা গেছে, এমবিশন ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টারে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর দুই দিন পর ৩১ আগস্ট রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানান, ভিকটিম তার মা ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেন। ধর্ষণের এজাহার পাওয়ার পর গভীর রাতে কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পূর্বটেংরী ঈদগাহ রোডের শাহনেওয়াজ ইসলাম হিরোজের ছেলে। অভিযুক্ত অজ্ঞাত আরও দুজনকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম তার ছেলেকে পড়ানোর জন্য নাহিয়ান ইসলাম নাহিদের কাছে শিক্ষক খুঁজে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট বিকালে নাহিদ মোবাইল ফোনে ছেলেকে পড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে কোচিং সেন্টারে যেতে বলেন। তারপর ভিকটিম কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখেন আরও দুজন অপরিচিত ব্যক্তি বসে আছেন। ভিকটিম ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তারা দরজা বন্ধ করে তার মুখ চেপে ধরেন এবং তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে বাড়ি ফিরে ভিকটিম মা ও স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। কোচিং সেন্টারের নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।