সুস্থতা আল্লাহর বড় নেয়ামত। সুস্থ না থাকলে কোনো ভালো বা কল্যাণকর কাজ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। রাসুল (সা.) সব সময় সুস্থতার জন্য দোয়া করতেন। সাহাবায়ে কেরামকেও তিনি সুস্থতার জন্য দোয়া করার নির্দেশ দিতেন। রাসুল (সা.) বলেছেন,
سَلوا اللهَ العفوَ والعافيةَ فإنَّ أحدًا لم يُعطَ بعد اليقينِ خيرًا من العافيةِ
আল্লাহর কাছে ক্ষমা, নিরাপত্তা ও সুস্থতা চাও, ঈমানের পর নিরাপত্তা ও সুস্থতাই সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত। (সুনানে তিরমিজি, সুনানে নাসাঈ)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, এক বেদুইন রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞাসা করেছিল, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর কী দোয়া করবো? রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কাছে আফিয়ত বা সুস্থতা ও নিরাপত্তা চাও। বেদুইন একই প্রশ্ন তিনবার করলো। তিনি শেষবারও বললেন, আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। তিরমিজির একটি বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় দোয়া হলো আফিয়ত বা সুস্থতা ও নিরাপত্তার দোয়া।
রাসুল (সা.) যেভাবে সুস্থতার জন্য দোয়া করতেন
রাসুল (সা.) দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ وَالأَمَانَةَ وَحُسْنَ الْخُلُقِ وَالرِّضَا بِالْقَدَرِ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুস্বাস্থ্য, সৎ চরিত্র, আমানতদারিতা, উত্তম স্বভাব এবং তাকদিরের ওপর সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি। (আল আদাবুল মুফরাদ লিলবুখারি)
সুস্থতা, সুস্বাস্থ্য ও উত্তম স্বভাব অর্জনের জন্য বেশি বেশি এই দোয়া করতে পারেন।
রাসুল (সা.) সকাল ও সন্ধ্যায় দোয়া করতেন,
بِسْمِ اللهِ الذِي لَايَضُرُّ مَعَ اِسْمِه شَيْئ في الأَرْضِ ولا في السَّمَاء وَهُوَ السمِيعُ العَلِيم
ওই আল্লাহর নামে যার নামের সঙ্গে আসমান-জমিনের কোনো কিছু কোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সুনানে তিরমিজি, আবু দাউদ)
সুস্থতা, নিজের জীবন, পরিবার ও সম্পদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দোয়াটি সকাল ও সন্ধ্যা পাঠ করতে পারেন।
রাসুল (সা.) দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ
হে আল্লাহ! আমি শ্বেত, পাগলামি, কুষ্ঠ এবং ঘৃণ্য রোগগুলো থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ)
যে কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি ও কঠিন রোগবালাই থেকে বেঁচে থাকতে বেশি বেশি দোয়াটি পাঠ করতে পারেন।