২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৭:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন


ভৈরবে আবারও কার্গোডুবি
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২২
ভৈরবে আবারও কার্গোডুবি ফাইল ফটো


যশোরের অভয়নগরের ভৈরব নদে এবার ১ হাজার ৩৫০ টন কয়লা বোঝাই ‘এমভি সুরাইয়া’ নামের একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে।

শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ভাটপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ইকোপার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জাহাজের ১২ জন স্টাফই সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। নৌযান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া কয়লার কারণে নদের পানি দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ডুবে যাওয়া কয়লার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠান এ কয়লা আমদানি করে। 

এমভি সুরাইয়া জাহাজের মাস্টার সোহাগ হোসেন রাজু বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্ট থেকে ১ হাজার ১৬০ টন কয়লা নিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। কাগজে-কলমে ১ হাজার ১৬০ টন থাকলেও জাহাজে ১ হাজার ৩৫০ টন কয়লা ছিল। আনলোড পয়েন্টে জায়গা না থাকায় গত ১ মার্চ অভয়নগরের ভাটপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ইকোপার্কের সামনে জাহাজ নোঙর করা হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাহাজের তলদেশ ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাহাজ ডুবে যায়। আমরা ১২ জন সাঁতরে জীবন রক্ষা করেছি।

আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক রাকিবুল ইসলাম জানান, আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টের মাদার ভেসেল থেকে এমভি সুরাইয়া নামের কার্গো জাহাজে ১ হাজার ৩৫০ টন কয়লা লোড দেওয়া হয়। গত ১ মার্চ অভয়নগরে পৌঁছালে আফিল ট্রেডের ঘাটে নোঙর করানো সম্ভব হয়নি। পরে জাহাজটি ভাটপাড়া ইকোপার্কের সামনে নোঙর করে। নদীর নাব্যতা কমার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। 

নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, শনিবার সকালে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়, নদীর মাঝামাঝি স্থানে জাহাজ আটকে গেছে। এসময় তারা সহযোগিতা চাইলে জাহাজ পাড়ে ভেড়াতে বলা হয়। দুপুরে জানতে পারি জাহাজ ডুবে গেছে। ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঐ স্থানে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।

চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় পীরবাড়ী ঘাটে ‘এমভি শারিব বাঁধন’ নামের একটি জাহাজ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজে ৬৮০ টন (১৩ হাজার ৬০০ বস্তা) সরকারি ইউরিয়া সার ছিল। এই জাহাজ এখনও উদ্ধার হয়নি।

রাজশাহীর সময় / এএইচ