২০ মে ২০২৪, সোমবার, ০১:৪২:০০ পূর্বাহ্ন


বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এসআই-এর বিরুদ্ধে মামলা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৮-২০২৩
বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এসআই-এর বিরুদ্ধে মামলা বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এসআই-এর বিরুদ্ধে মামলা


বগুড়ায় বিয়ের প্রলোভনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মিথুন সরকার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শেরপুর থানায় মামলা না নেওয়ায় ভুক্তভোগী বৃহস্পতিবার বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। বিচারক এ ব্যাপারে তদন্ত করে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহার সূত্র জানায়, মিথুন শেরপুর জেলা সদরের বয়রা পালপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বগুড়ার শেরপুর থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। মামলার বাদী বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা ও ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ২০২০ সালে একটি জাতীয় দৈনিকের পাঠক ফোরামের সদস্য থাকাকালে অপর সদস্যকে প্রেম করে বিয়ে করেন। স্বামীর পরিবার মেনে না নেওয়ায় তিন মাসের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদ হয় এবং তার সাবেক স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এদিকে এই বিয়ের কথা গোপন করে ফের ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ঢাকায় একসঙ্গে বসবাস করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বগুড়ায় চলে আসেন। পরে ভুক্তভোগীও বাড়িতে ফিরে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় শেরপুর থানা পুলিশের সহায়তা নেন। সেখানে যাওয়া আসার একপর্যায়ে থানার এসআই মিথুনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে ভুক্তভোগীর।

মিথুন নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে তাকে জানান, তার বাড়ি ময়মনসিংহে। পুলিশের ৩৮ ব্যাচের এসআই। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন মিথুন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শেরপুর থানায় মিথুনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন পুলিশ। প্রতিকার পেতে বগুড়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তে সত্যতা মেলায় পুলিশ সুপার ৮ আগস্ট মিথুনকে শেরপুর থানা থেকে আদমদীঘি থানায় বদলি করেন। পরদিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করেন।

এ ব্যাপারে আইনজীবী লুৎফর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার পর থেকে ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে মিথুন সরকার বলেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার কিছুই হয়নি। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যুগান্তর।