তড়িঘড়ি বিয়ের পর হানিমুনে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। মাত্র চার দিনেই হানিমুনপর্ব শেষ করতে হয় তাকে। সেখান থেকে ফিরেই শুটিংয়ের কাজে অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিয়েছেন অভিনেত্রী। চলতি মাসের পুরোটাই সেখানে থাকবেন তিনি।
কাজের চাপে আরাম করে বিয়ে আর হানিমুনটাও করতে পারেননি ফারিণ। সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। কাজের ব্যস্ততা এতটাই এ অভিনেত্রীকে বেঁধে রেখেছে যে, বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করতে হয়েছে তাকে।
আবার বিয়ের পরদিনই ডাবিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে ফারিণকে। বিয়ের পর হানিমুনেও বেশি সময় দিতে পারেননি ফারিণ। কাজের চাপে আর স্বামী রেজওয়ানের লন্ডনে পাড়ি দেয়ার তাড়া থাকায় মালদ্বীপে মাত্র ৪ দিনের মাথায় হানিমুন শেষ করেন। হানিমুন শেষ করেই আবার শুটিংয়ের কাজে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন তিনি।
বিয়ের পরে কোনো স্বাভাবিক ছন্দের পরিবর্তন অনুভব করছেন না ফারিণ। বিয়ের আগে যে জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন, এখনও সেভাবেই কাটছে তার। তবে সব মিলিয়ে বিয়ের পরের অবস্থাটা ঠিক বুঝে উঠতে এখনও পুরোপুরি পারেননি এই অভিনেত্রী। তবে বিয়ের পর ভক্তের সংখ্যা তার আরও বেড়ে গেছেই বলে মনে করেন ফারিণ।
বিয়ের পর তারকাদের অনুরাগীর সংখ্যা কমে যায়, এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। তবে এসবে মোটেও তোয়াক্কা করেন না ফারিণ। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, এমন আশঙ্কা তার কোনোদিনই ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে ভক্তদের কথা কেন ভাবতে হবে? প্রিয় তারকার জীবনের পবিত্র কাজে যদি ভক্তদের সমর্থনই না থাকে; তাহলে তারা কিসের ভক্ত! তবে আমার ভক্তরা আমার পাশে আছে। আর তাই বিয়ের পর ভক্তদের সংখ্যা এতই বেড়েছে যে, এখনও শুভেচ্ছায় ভাসছি আমি।
গত ১৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের খবর জানিয়ে দোয়া চান ফারিণ। বিয়ের ছবি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পর নেটিজেনদের যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছেন, তাতে তিনি মুগ্ধ।
কর্মসূত্রে ফারিণের স্বামী শেখ রেজওয়ান দেশের বাইরে থাকেন। আগামী ২২ আগস্ট তিনি লন্ডনে পাড়ি জমাবেন। সেখানে নতুন একটি চাকরিতে যোগদান করবেন রেজওয়ান। ফলে কম সময়ের মধ্যে তার ছুটি পাওয়া সম্ভব না বলেই আশঙ্কা ফারিণের। কাজের ব্যস্ততা এ জুটির এত বেশি যে আবারও বড় আয়োজনে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। ইচ্ছা থাকলেও এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
