২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৭:৪৩:৩৬ পূর্বাহ্ন


পেটে কাঁচি রেখে সেলাই: ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৩-২০২২
পেটে কাঁচি রেখে সেলাই: ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই: ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর


‘রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই’ ‘নবজাতকের কপাল কাটা’, ‘অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের সময় গৃহবধূর মলদ্বারের নাড়ি কেটে ফেলা’ ও হাসপাতালে রোগীর স্বামীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার মতো আলোচিত ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফরিদপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার (অপারেশন) কারণে এক নারীর ছয় দিনেও জ্ঞান না ফেরার ঘটনা ঘটেছে।

ওই নারী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে ভর্তি রয়েছে।

ওই নারীর ছেলে মো. শাহ আলম শেখ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার মা লাকী বেগমের পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গেলে ওই দিনই ফরিদপুর শহরের দেশ ক্লিনিকে এনে ভর্তি করেন। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. অনাদি রঞ্জন মণ্ডল অস্ত্রপচার করেন।

মো. শাহ আলম শেখের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার জ্ঞান না ফেরায় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অদ্যবদি তার জ্ঞান ফেরেনি।

এদিকে ওই রোগীর অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. অনাদী রঞ্জন মণ্ডল জানান, অস্ত্রোপচারকালে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অস্ত্রোপচার করা হয়।

রোগীর বর্তমান অবস্থার কারণ সম্পর্কে ডা. অনাদী রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ওই রোগী ব্রেইন ও হার্ট স্ট্রোক করে থাকতে পারে। তবে কেনো এমন হলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে পায়ের হাড়ভাঙা অপারেশনের কারণে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

দেশ ক্লিনিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহামেদুল বারী বাবু জানান, রোগী অস্ত্রোপচার করার পরেও ঠিক ছিলেন। তবে, অস্ত্রোপচারের কিছু সময় পরে ওই রোগীর ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ আসে, যা শোনার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং স্ট্রোক করেন বলে ধারণা করছি।

রাজশাহীর সময় / জি আর