গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
বুধবার (২ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামির নাম মো. আজিজুল হক। এ নাম বাদেও তিনি বিভিন্ন সময়ে রানা, শাহনেওয়াজ, রুমন নামেও পরিচয় দিতেন। বিস্তারিত জানাতে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে সিটিটিসি।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, ফায়ারিং স্কোয়াডে ওই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন আদালত। সে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিল।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে ২০০০ সালের ২০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরও ১টি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।
তার একদিন পর নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছিল।
মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। গত বছর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ১৪ জঙ্গির প্রত্যেককে ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ বা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক। তারা হলেন- আজিজুল, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল ও মোসাহেব। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) সদস্য বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ