২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৫:৩৪:০৫ পূর্বাহ্ন


সুদের টাকা দিতে না পেরে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন বাবা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৩-২০২২
সুদের টাকা দিতে না পেরে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন বাবা সুদের টাকা দিতে না পেরে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন বাবা


টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাঙাচিরা গ্রামের ইউসুফ মিয়া নামের এক দরিদ্র কৃষক সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে ১৩ বছরের মেয়েকে সুদের কারবারির সঙ্গে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র সময়নিউজকে জানায়, ওই গ্রামের দরিদ্র ইউসুফ মিয়া অভাব অনটনের কারণে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চিলাবাড়ি এলাকার সিরাজুল ইসলামের (৫৫) কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নেয়। কিন্তু তিনি সময় মতো ওই টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।

এদিকে সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতা নিয়ে অসহায় কৃষক ইউসুফ মিয়াকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অন্যথায় তার ১৩ বছরের মেয়েকে সিরাজুলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাপ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন। 

একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে মানসন্মানের ভয়ে মেয়েকে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। পরে শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় কাজী আমিরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে এ বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন।

 সিরাজুল ইসলাম সদর উপজেলার চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে।

রাঙাচিরা গ্রামের ইউপি সদস্য সোলাইমান মণ্ডল ওরফে সলু মণ্ডল জানান, অভাব-অনটনের কারণে সিরাজুল ইসলামের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনা আগে জানতে পারলে তিনি এমনটি হতে দিতেন না।

সিরাজুল ইসলাম বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় পরিবারের মতামত নিয়ে প্রস্তাবের মাধ্যমেই অল্প বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তবে মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

 কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, বিয়ের কথা তিনি শুনেছেন তবে, সুদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করা হয়েছে কিনা তা জানেন না। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

রাজশাহীর সময় / জি আর