'রাজ: দ্যা মিস্ট্রি কনটিনিউ' ছবিতে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে কাজ করেছিলেন অধ্যায়ন সুমন। সেই সুবাদেই বছর খানেক কঙ্গনা রানাওয়াতের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অধ্যায়ন। পরে সেই সম্পর্ক তিক্ততার সঙ্গে ভেঙে যায়। ২০১৭তে কঙ্গনার সঙ্গে প্রেম ভাঙা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অধ্যায়ন। কঙ্গনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। বলেছিলেন, কঙ্গনা প্রেমিকা হিসাবে ভয়ানক। তাঁকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কঙ্গনার সঙ্গে প্রেম করার একবছর সময়সীমাটা তাঁর জীবনে ভীষণই খারাপ কেটেছে বলে দাবি করেছিলেন শেখর সুমন পুত্র।
যদিও কঙ্গনার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলার পরই অধ্যায়ন সুমনকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সম্প্রতি ফের একবার সেবিষয়ে মুখ খুলেছেন অধ্যায়ন। তাঁর কথায়, বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁর কোনও আফসোস নেই। অধ্যায়নের কথায়, 'আমার এটা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আমিও তো মানুষ। আমি এমন একটা সময়ের কথা বলেছিলাম যেবিষয়ে অনেকেই জানতেন না যে ঠিক কী ঘটেছিল। আমি কিন্তু সেটা বলার জন্য কোনও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করিনি বা সেটা নিয়ে হই-হুল্লোড় তৈরি করিনি। আমি সেই ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলেছিলাম। আর সেটা বলা দরকার ছিল।
অধ্যায়ন সুমনের কথায়, ‘আমি যদি প্রচারের স্বার্থেই কথা বলতাম, তাহলে ২০০৯-এর ঘটনা ২০১৭-তে গিয়ে বলতাম না। আর এটা বলার জন্য পেশাগত জগতে কোনও পার্থক্য তৈরি হয় না। কাজ পাওয়া যায় প্রতিভার জেরে। লোকজন তখন সেটা নিয়ে কথা বলার জন্য আমার সমালোচনা করেছিলেন। তবে পরে তাঁরাই বিষয়টা বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাই আমি এটা নিয়ে কোনও অনুশোচনা করি না।’
অধ্যায়ন ২০১৬সালে DNA-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, এক মুহুর্তের জন্য উনি আমাকে ভালবাসার অনুভূতি দিয়েছিলেন।পরে, মনে হয়েছিল যে আমি ওঁর জীবনে কেউই ছিলাম না! আমি বারে একা দাঁড়িয়ে ছিলাম যখন কঙ্গনা আমার কাছে এগিয়ে এসে বললো পার্টিতে একজন অভিনেতা তাকে ধরতে চাইছিলেন …। তাই আমি ওঁকে বলেছিলাম, 'চল যাই।' এরপর ও ওঁর কাজে ফিরে গেল। পরে ফের ও এসে আমাকে বলল চল এখনই যাই। আমি ওঁর সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটছিলাম তারপর ও ঘুরে এসে আমাকে চড় মেরেছিল!
অধ্যায়ন এর আগে অভিযোগ করেছিলেন যে কঙ্গনা তাঁকে জ্যোতিষীদের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর কালো জাদু করার চেষ্টা করেছিলেন। বলেছিলেন ‘একদিন, কঙ্গনা আমাকে পুজো করতে রাতে বাড়িতে ডাকেন। আমি রাত ১১.৩০ নাগাদ ওঁর বাড়িতে পৌঁছেছিলাম কারণ পূজা শুরু হবে ১২টায়। ওঁর অ্যাপার্টমেন্টে একটি ছোট গেস্ট রুম ছিল সেখানে কালো পর্দা এবং কালো কাপড়ে ঢেকে রেখেছিলেন। সেখানে কিছু এলোমেলো ভগবানের মূর্তি, চারিদিকে আগুন, কিছু ভীতিকর জিনিস রাখা ছিল। তিনি আমাকে কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করতে বললেন এবং আমাকে আটকে রাখলেন। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি সেটা করিনি এবং আমি বাইরে এসেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, অধ্যায়ন সুমনকে সম্প্রতি উর্বশী রাউতেলা এবং রণদীপ হুডা অভিনীত ওয়েব সিরিজ ইন্সপেক্টর অবিনাশ-এ দেখা গিয়েছে। অভিনেতা ‘এয়ারপোর্ট’ নামে একটি ছবির হাত ধরে পরিচালক হিসাবে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন।