অনন্যার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আদিত্য রায় কাপুর। এখবর তো পুরনো। সম্প্রতি অনন্যাকে নিয়ে স্পেন এবং পর্তুগাল বেড়াতে গিয়েছিলেন আদিত্য। পর্তুগালের রাস্তায় অনন্যা-আদিত্যর প্রেমের ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। আর তাই অনন্য-আদিত্যর প্রেমের খবর আর চাপা থাকেনি।
এদিকে আবার বেড়িয়ে ফিরেই একসঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন অনন্যা-আদিত্য। একসঙ্গে ডিনার ডেটে বের হয়েও পাপারাৎজির নজরে পড়ন তাঁরা। এবার অনন্যার নাম না করেই বেড়াতে যাওয়ার খবর একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন আদিত্য রায় কাপুর।
আদিত্য রায় কাপুর বলেন, ‘অনেকদিন পর একটু ছুটির দরকার ছিল, তাই বেড়াতে গিয়েছিলাম। তবে আমি মুম্বইয়ের বর্ষার সময়টা আমার বেশ পছন্দ। তবে এবার ওই সময়টা এখানে ছিলাম না, বেশ মিস করেছি। যদিও আমি ফিরে আসার পরও একসপ্তাহ টানা বৃষ্টি হচ্ছে।’
আদিত্যকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর পর্তুগাল ট্রিপের বেশকিছু ছবি যে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা কি তিনি জানেন? এ প্রশ্নে আদিত্য রায় কাপুর বলেন, ‘হ্যাঁ শুনেছি। তবে আমি খুব বেশি নেট দুনিয়ায় থাকি না।’ তবে আদিত্য সব উত্তরই বেশ বুদ্ধিতৃপ্তভাবে অনন্যার নাম না করে জবাব দিয়েছেন। তবে আদিত্যর কথায় স্পষ্ট অনন্য়ার সঙ্গে তাঁর বেড়াতে যাওয়ার ছবিগুলি এক্কেবরেই ভুয়ো নয়। শুধু পর্তুগালের রাস্তাতেই নয়, এক রেস্তোরাঁতেও ওয়াইনের গ্লাস নিয়ে মুখোমুখি বসে প্রেম করতে দেখা গিয়েছিল আদিত্য-অনন্যাকে। ছবিতেই স্পষ্ট তাঁরা একে অপরের প্রেমে হারিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত 'কফি উইথ করণ'-এর সিজন-৭ অনন্যা-আদিত্যর প্রেমের কথা ফাঁস হয়। পরে রণবীর কাপুরও নাম না করে অনন্যা-আদিত্যর প্রেমের খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন আদিত্য যাঁর সঙ্গে প্রেম করছে তাঁর নামের প্রথম অক্ষয় 'এ' দিয়ে শুরু।
এদিকে অনন্যা পান্ডের মা ভাবনা পাণ্ডে দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে নাকি এখনও ‘সিঙ্গল’। এমনও শোনা যাচ্ছে আদিত্যর সঙ্গে প্রেমে বিশেষ সম্মতি নেই ভাবনা পাণ্ডের। না থাকার কারণও রয়েছে যথেষ্ঠ। আদিত্যর বয়স এখন ৩৭, আর অনন্যা মাত্র ২৪। দুজনের বয়সের পার্থক্য ১৩ বছরের । যদিও আলিয়া-রণবীর, করণ-মালাইকারা আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স শুধুই সংখ্যা মাত্র।
প্রসঙ্গত এর আগে এর আগে অনন্যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শাহিদ কাপুরের ভাই ইশান খট্টরের। তাঁরা ও একসঙ্গে মালদ্বীপ বেড়াতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে আদিত্যর সঙ্গে প্রেম ছিল শ্রদ্ধা কাপুর, রিয়া চক্রবর্তীদের। সেই প্রেমগুলিও ভেঙে যায়।