২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৫:২৫ পূর্বাহ্ন


উরুগুয়ে উপকূলে ভেসে এলো প্রায় ২ হাজার মরা পেঙ্গুইন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
উরুগুয়ে উপকূলে ভেসে এলো প্রায় ২ হাজার মরা পেঙ্গুইন পূর্ব উরুগুয়ের উপকূলে ভেসে আসা মৃত পেঙ্গুইন। ছবি: এএফপি


বেশ কয়েকদিন ধরেই উরুগুয়ের পূর্ব-উপকূলে একের পর এক মরা পেঙ্গুইন ভেসে আসছে। এভাবে গত ১০ দিনে প্রায় ২ হাজার মৃত পেঙ্গুইন ভেসে এসেছে। সাগরে অবৈধভাবে মাছ ধরার কারণে পেঙ্গুইন মারা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মৃত পেঙ্গুইনগুলো মূলত ম্যাগেলানিক প্রজাতির। তুলনামূলক অল্পবয়সী পেঙ্গুইনগুলো আটলান্টিক মহাসাগরে মারা গেছে এবং এরপর সেগুলো স্রোতে ভাসতে ভাসতে উরুগুয়ে উপকূলে এসে পৌঁছেছে। এমনটাই বলছেন উরুগুয়ের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
 
পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের প্রাণী বিভাগের প্রধান কারমেন লেইজাগোয়েন বলেন, ম্যাগিলানিক পেঙ্গুইনগুলোর বেশিরভাগই কম বয়সী। এগুলো আটলান্টিক মহাসাগরে মারা গিয়েছিল এবং স্রোতের মাধ্যমে উরুগুয়ের উপকূলে ভেসে এসেছে।
 
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই মৃত্যুর কারণ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বলে মনে হচ্ছে না। বিষয়টি এখনও রহস্যজনক।’ তার মতে, এগুলোর পানিতে মৃত্যু হয়েছে। নব্বই শতাংশই তরুণ। এগুলোর শরীরে চর্বি নেই। পেটও খালি।’
 
ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইন মূলত দক্ষিণ আর্জেন্টিনায় বাসা বাঁধে। দক্ষিণ গোলার্ধের এই পেঙ্গুইন শীতকালে তারা খাদ্য ও উষ্ণ জলের সন্ধানে উত্তরে চলে যায়। এমনকি ব্রাজিলের এস্পিরিটো সান্টো রাজ্যের উপকূলে পৌঁছে যায়।
 
সাগরে শত শত মাইল পথ পাড়ি দেয়ার সময় কিছু পেঙ্গুইন মারা যাওয়া স্বাভাবিক। তবে একসঙ্গে এতগুলো মারা যাওয়ার ব্যাপারটা স্বাভাবিক নয়। বলছেন লেইজাগোয়েন। তিনি বলেন, গত বছর ব্রাজিলে এমন মৃত্যু ঘটেছিল। তবে তার কারণও জানা যায়নি।
 
উরুগুয়ের উপসাগরীয় সংরক্ষিত এলাকা লেগুনা দে রোচা’র পরিচালক হেক্টর কায়মারিস জানিয়েছেন, তিনি আটলান্টিক উপকূলের ছয় মাইল (১০ কিলোমিটার) এলাকাজুড়ে ৫০০টিরও বেশি মৃত পেঙ্গুইন দেখতে পেয়েছেন।
 
এদিকে ঝাকে ঝাকে ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মাছ ধরা ও অবৈধভাবে মাছশিকারকে দায়ী করেছেন পরিবেশবাদীরা।
 
প্রাণী অধিকার সংগঠন এসওএস মেরিন ওয়াইল্ডলাইফ রেসক্যু’র রিচার্ড তেসোর বলেন, ১৯৯০ ও ২০০০-এর দশক থেকে আমরা প্রাণীর খাদ্যের ঘাটতি দেখে আসছি। জীবনধারণের উপকরণের অতিরিক্ত ব্যবহারে এমনটি ঘটিয়েছে।’
 
তিনি আরও বলেন, আটলান্টিকের একটি উপ-ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যা জুলাইয়ের মাঝামাঝি দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলে আঘাত হানে, সম্ভবত খারাপ আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে দুর্বল এই প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে।