২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন


গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত দাবানল নেভাতে বিমান পাঠানো হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত


গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে একটি দমকল বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দেশটির ইভিয়া দ্বীপে ছোট্ট বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইআরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যায়, বিমানটি পানি ছিটিয়ে দাবানল নেভানোর চেষ্টা করছে। এরপর হঠাৎ এটাকে একটা পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হতে দেখা যায়। আছড়ে পড়ার পরপরই এতে আগুন ধরে যায়।

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরই ওই এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের লক্ষ্যে দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের বিমান বাহিনী। ছোট্ট বিমানটিতে দুইজন পাইলট ছিল। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
 
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিএল-২১৫ নামের বিমানটি গ্রিসের ইভিয়া দ্বীপের প্লাতানিস্তোস এলাকায় দাবানল নেভানোর সময় মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় বিধ্বস্ত হয়।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গ্রিস। ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক উপকূলের কাছে দেশটির মালিকানাধীন রোডস দ্বীপ ও কর্ফুকে দ্বীপে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে দুটি দ্বীপে থাকা অধিকাংশ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসুতাকিস।
 
গ্রিসের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত রোডস। সাতদিন আগে দ্বীপটিতে দাবানলের শুরু হয়। সাতদিন পেরিয়ে গেলেও দাবানল থামার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সপ্তাহব্যাপী এই দাবানলের কারণে দ্বীপটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। অবশ্য অধিকাংশই দ্বীপটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক।
 
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে রোডস থেকে ১৯ হাজার লোক সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরেকটু দেরি করলে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ত। কারণ, দাবানল এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছে গেছে।
 
ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র আরও জানিয়েছে, রোডস ছাড়াও পশ্চিমা আয়োনিয়ান দ্বীপ হিসেবে পরিচিত কর্ফু থেকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে। সরিয়ে নেয়া ২ হাজার ৪০০ লোকের মধ্যে পর্যটক ও স্থানীয় অধিবাসীও রয়েছে। এছাড়া পেলোপোনেস অঞ্চলের ইভিয়া দ্বীপ থেকেও লোক সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
 
সোমবার (২৪ জুলাই) গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসুতাকিস বলেছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমরা একটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি।’
 
পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো আবারও নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে তা আমরা আবারও নির্মাণ করব। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আমরা ক্ষতিপূরণ দেবো। জলবায়ু সংকট আমাদের ওপর আঘাত হেনেছে এবং এটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে মারাত্মকভাবে তার প্রভাব বিস্তার করবে।’