প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। সেটি এখন সুপার টাইফুনে রূপ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মেধ্যে ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরপর চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে চীনের মূল ভুখণ্ডে আঘাত হানবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে 'টাইফুন' বলা হয়। চীন, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও জাপানে প্রায় প্রতিবছর একাধিক টাইফুন আঘাত হানে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট টাইফুনটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ডকসুরি’। আবহাওয়াবিদরা এরই মধ্যে এটিকে ‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রতিবেদন মতে, ডকসুরির কেন্দ্রে এখন বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ১৫০ মাইল তথা ২৪০ কিলোমিটার। এটাকে আটলান্টিকের ক্যাটাগরি ৪ হারিকেনের সমান শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে।
টাইফুনটি এই মুহূর্তে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে ফিলিপিন্সের দিকে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিলিপিন্সের বাবুয়ান দ্বীপপুঞ্জের ওপরে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা।
প্রবল বাতাসের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফিলিপিন্সের বৃহত্তম ও সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ বাবুয়ান দ্বীপপুঞ্জে বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দেশটির পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ ও সরকারি অফিস।
এদিকে তাইওয়ানে বৃহত্তম সামরিক মহড়ার কিছু অংশ বাতিল করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক হান কুয়ান মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী। ভবিষ্যতে চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে সুরক্ষার অংশ হিসেবে এই মহড়া।
এদিকে সুপার টাইফুন ডকসুরিকে পর্যবেক্ষণ করছে হংকং অবজারভেটরি। ঝড়ের বিষয়ে এরই মধ্যে জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ আগেই টাইফুন তালিম নামে আরেকটি ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছিল হংকং। যার কারণে স্কুল এবং স্টক মার্কেট বন্ধ করতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে।