বর্তমান সময়ে প্রায়শই এমন কিছু বিষয়ের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হচ্ছে যেগুলি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছেন সবাই। এমনকি, একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্যও ওই বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই সামনে এল আরও এক অবাক করা তথ্য। মূলত, এবার বিজ্ঞানীরা মহাকাশে রীতিমতো "কুবেরের ধন" খুঁজে পেয়েছেন!
হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল। প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, মহাকাশের একের পর এক রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেইসব গবেষণার উপর ভর করেই সামনে আসে অদ্ভুত সব তথ্য।
এমতাবস্থায়, ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী অংশে এমন একটি উল্কাপিণ্ড রয়েছে যেটি অত্যন্ত মূল্যবান। শুধু তাই নয়, আরও জানা গিয়েছে যে এই উল্কাপিণ্ডটি মূল্যবান খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনুমান করা হচ্ছে এহেন মূল্যবান মহাজাগতিক বিষয় যদি কোনোভাবে পৃথিবীতে পৌঁছে যায় সেক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষ কোটিপতি হয়ে যেতে পারে।
উল্কাপিণ্ডই হল "কুবেরের ধন": অনুমান করা হচ্ছে, এই উল্কাপিণ্ডটি লোহা, নিকেল ও সোনার মতো মূল্যবান ধাতু দ্বারা আবৃত হয়েছে এবং এর দাম হিসেব করা হলে সেটি ১০ হাজার কুইন্টিলিয়ন আমেরিকান ডলার হতে পারে। ইতিমধ্যেই LadBible-এর রিপোর্ট অনুসারে, যদি ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলার মূল্যের এই মহা মূল্যবান উল্কাপিন্ডটির নাগাল পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে বিশ্বের ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রত্যেকের কাছে ১ ট্রিলিয়ন পাউন্ড অর্থাত্ ১০০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইতিমধ্যেই মহাকাশ সংস্থা NASA-ও এই উল্কাপিণ্ডের জন্য মিশন লঞ্চ করার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
অক্টোবর নাগাদ সম্পন্ন হবে এই মিশন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে ইতিমধ্যেই এমন একটি মহাকাশযান NASA তৈরি করেছে, যেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে এই উল্কাপিণ্ডটিকে। মূলত, এই মিশনটি সম্পন্ন হবে এই মূল্যবান উল্কাপিণ্ডগুলি কিভাবে তৈরি হয় তা জানার জন্য।
এই প্রসঙ্গে NASA-র ওয়েবসাইট অনুসারে জানা গিয়েছে এই উল্কাপিণ্ডের গঠন ভিন্ন। পাশাপাশি, এতে আয়রন কোর বেরিয়ে এসেছে। যা আমাদের সৌরজগতের সামনে ব্লক তৈরি করছে। এটি পৃথিবী থেকে ২.৫ বিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে। যেটি পরিদর্শন করতে ৬ বছর সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি, আরও জানা গিয়েছে, ওই মিশন কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আগামী ৫ অক্টোবর লঞ্চ করা হবে।