রহস্যময়ী রেখার ব্যক্তিগত জীবন সব সময়ই থেকেছে আতসকাচের নীচে৷ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখনও টিনসেল টাউনে তীব্র চর্চিত৷ এরই মাঝে নায়িকার জীবনী ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য৷ ২০১৬ সালে প্রকাশিত ইয়াসের উসমানের লেখা রেখার আত্মজীবনী ‘দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ অনুযায়ী, বর্ষীয়ান অথচ চিরতরুণী রেখা তাঁর সেক্রেটারি ফরজানার সঙ্গে সহবাসের সম্পর্কে আছেন৷ জানা যাচ্ছে, ফরজানা ছাড়া আর কেউই রেখার শোওয়ার ঘরে ঢোকার অনুমতি পান না৷ রেখার জীবনীতে এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘‘রেখার আদর্শ সঙ্গী ফরজানা৷ তিনি রেখার পরামর্শদাতা, বন্ধু এবং সমর্থক৷ তাঁকে ছাড়া রেখা থাকতেই পারেন না৷ এমনকি, শুধুমাত্র রেখার বিশ্বস্ত সচিব ফরজানা-যাঁকে অনেকেই তাঁর প্রেমিক বলেন, তিনিই একমাত্র অনুমতি পেয়েছেন রেখার শোওয়ার ঘরে প্রবেশের৷ বাড়ির পরিচারক পরিচারিকাদেরও সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই৷’’ রেখার জীবনীর এই অংশ উদ্ধৃত করেই প্রতিবেদন পেশ করেছে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম৷
জীবনীতে দাবি করা হয়েছে রেখারব্যক্তিগত জীবন, তাঁর দৈনন্দিন কাজ সবই নখদর্পণে থাকে সেক্রেটারি ফরজানার৷ এমনকি, অভিনেত্রী কার সঙ্গে কথা বলছেন, সে দিকেও নজর রাখেন ফরজানা৷ তাঁর জীবনীতে বলা হয়েছে, ‘‘রেখার জীবনে এবং বাড়িতে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন ফরজানা৷ তাঁকে ছাড়া রেখার কাছে যাওয়ার উপায় নেই৷ রেখার জন্য আসা সব ফোন কল প্রথমে ফরজানা ধরেন৷ কার্যত তিনিই রেখার জীবনের প্রতি মুহূর্ত সাজিয়ে দেন৷’’ রেখার আইকনিক সাজসজ্জার পিছনেও ফরজানারই অবদান আছে বলে দাবি জীবনীতে৷
প্রসঙ্গত দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ অগরওয়ালকে ১৯৯০ সালে বিয়ে করেছিলেন রেখা৷ তবে তাঁদের দাম্পত্য সাত মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি৷ আত্মঘাতী হন মুকেশ৷ সে সময় রেখা ছিলেন লন্ডনে৷ জীবনীতে এও দাবি করা হয়েছে ফরজানার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নেন মুকেশ৷ এর আগে সংবাদমাধ্যমে রেখা দাবি করেছিলেন ফরজানা তাঁর আত্মিক বোন৷ কিন্তু জীবনীতে ইঙ্গিত, তাঁদের সম্পর্কে যৌনতার দিকে৷