বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হতে পারে চলতি জুলাই মাস। এটি হতে পারে কয়েকশ এমনকি হাজার বছরের মধ্যে উষ্ণতম মাস। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একজন বিশেষজ্ঞ এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং মেইন ইউনিভার্সিটির পরিচালিত সরঞ্জামের হিসাব অনুসারে এরইমধ্যে গরম ও তাপপ্রবাহের দৈনিক রেকর্ডগুলো ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে নাসার ব্রিফিংয়ে গ্যাভিন শ্মিট বলেন, যদিও এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সামান্য মতভিন্নতা রয়েছে তারপরও প্রচণ্ড তাপের প্রবণতাটি সন্দেহাতীত এবং এই বিষয়টি সম্ভবত মার্কিন সংস্থাগুলোর প্রস্তুতকৃত মাসিক প্রতিবেদনে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমরা ইউরোপে, চীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে যে তাপপ্রবাহ দেখছি তা আসলে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে।’
তিনি আরও বলেন, তাপপ্রবাহের এই প্রভাবগুলোর জন্য শুধুমাত্র এল নিনোর আবহাওয়ার ধরণকে দায়ী করা যায় না। মূলত এটি ‘সত্যিই কেবলমাত্র আবির্ভূত হয়েছে’।
গ্যাভিন শ্মিট বলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহের পেছনে যদিও এল নিনো ছোট ভূমিকা পালন করছে, তারপরও আমরা যা দেখছি তা হলো- প্রায় সর্বত্রই সামগ্রিকভাবে উষ্ণতা বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসাগরগুলোতে। আমরা অনেক মাস ধরে সমুদ্র পৃষ্ঠের রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা দেখছি। এমনকি সেটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের বাইরেও।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২৩ সাল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হবে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে শ্মিট বলেন, এই সুযোগ ৫০-৫০ রয়েছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এটিকে ৮০ শতাংশের বেশি রেখেছেন। নাসার এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে ২০২৪ আরও উষ্ণতম বছর হবে।