মাথা খেয়েছে অ্যামিবা! আর তার জেরেই মাত্র দু'বছরেই প্রাণ হারাল শিশু। ১৯ জুলাই আমেরিকার নেভাদায় মৃত্যু হয়েছে ওই বাচ্চাটির। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে মাথার সমস্যায় ভুগছিল ওই শিশুটি। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিত্সকরা প্রাথমিকভাবে জানান মেনিনজাইটিসের কারণেই মারা গিয়েছে সে।
কিন্তু পরে জানা যায়, বিরল এক সংক্রমণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তার। যা অ্যামিবার (Brain-Eating Amoeba) ফলেই ঘটেছে বলে দাবি।
ঠিক কী হয়েছে আসলে? মার্কিন মুলুকের (US) বান্ডি পরিবারের সন্তান উডরো টার্নার বান্ডি (Woodrow Turner Bundy)। তার মা ব্রিয়ানার একটি ফেসবুক পোস্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই রাত ২টো ৫৬ নাগাদ মারা গিয়েছে তাঁদের সন্তান। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ফ্লু (Flu) জাতীয় সমস্যায় ভুগছিল উডরো। জ্বরের সঙ্গেই ছিল মাথায় যন্ত্রণাও। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাকে হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সা চলার পর মারা যায় ওই শিশুটি।
মৃত শিশুর পরিবারের দাবি. উডরোর শরীর খারাপের আসল কারণ জানার পরেই তার চিকিত্সায় আর সচেষ্ট হননি চিকিত্সকরা। এমনকী সিডিসির তরফেও তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় একই কারণে মৃত্যু হয় ৫০ বছরের এক ব্যক্তির তাঁর মৃত্যুর কারণও 'অ্যামিবার সংক্রমণ' বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু কী এই সংক্রমণ? সিডিসি (CDC) অর্থাত্ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-র মতে, নেগ্লিরিয়া ফওলরি (Naegleria Fowleri) এক ধরনের অ্যামিবা (Amoeba) । যার সন্ধান মেলে পরিষ্কার গরম জলে। দাবি, কোনও নদী, হ্রদেও পাওয়া যায় এই ধরনের অ্যামিবা। আর এই সমস্ত জায়গা থেকেই নাক থেকে শরীরে বাসা বাঁধে সে। তারপরেই আক্রমণ চলে মস্তিষ্কে। যাকে চলতি কথায় বলা হয় 'মস্তিষ্ক খেকো'! চিকিত্সকদের দাবি, এই রোগটি বিরল। কয়েক লক্ষের মধ্যে একজনের শরীরে হতে পারে এই ধরনের সংক্রমণ।