পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা শেষ হবার নয়। ইমরান খান এবং তার সমর্থকদের কীর্তিকলাপে একেবারেই নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে পাকিস্তান প্রশাসন। কদিন আগেই বেশ কিছু শহরে বড় বিক্ষোভ দেখায় ইমরান খান এবং কোং।
খানের দাবী, আমেরিকা নাকি তাকে চক্রান্ত করে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। আর তাই তাকে ক্ষমতায় ফিরতে হবে মার্কিন দেশকে যোগ্য প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য। এদিকে সামনেই পাকিস্তানের নির্বাচন, কিন্তু তার আগে খানকে গারদে পাঠাতে তত্পর বর্তমান সরকার।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অবশ্য একটি নয়, একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। তোষাখানা থেকে চুরি, সম্পত্তি হেরাফেরি এমনকি মিলিটারিকে অপমান করা। তারপর আবার সদ্যই পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বৃহস্পতিবার এক বয়ানে জানিয়েছেন যে, ইমরান খানকে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগে জেলে ঢোকানো হতে পারে। আর সরকারি গোপনীয়তা ফাঁসের কারণে হাজতবাসে যেতে পারেন ইমরান খান।
ইমরান খান অভিযোগ করেন, গত বছরের মার্চ মাস নাগাদ ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের করে। আর সেই বক্তব্য তুলেই পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নজির তারার বলেন, সরকারি গোপনীয়তা ফাঁসের কারণে ন্যূনতম দুই বছরের শাস্তি হবেই ইমরান খানের। আর সেই নিয়ে মহাবিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের বুকে।
যদিও ইমরান খান এই অভিযোগ আজ করেননি, ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই খানের দাবী মার্কিন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে তাকে। এমনকি বর্তমান পাকিস্তান সরকারকে 'ইমপোর্টেড' অর্থাত্ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বলেও দাবী করেন ইমরান খান। যদিও এখন ইমরান খান পাকিস্তানে নেই, তিনি বিদেশে বসে রয়েছেন গ্রেফতারির ভয়ে। তাহলে সম্প্রতি এই বিতর্কের ঢেউ উথল কীভাবে?
উল্লেখ্য, গত মাস থেকে নিখোঁজ থাকা ইমরান খানের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আজম খানকে হঠাত্ দেখা যায়। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার বয়ান আসে যে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) প্রধান নাকি তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গোপন যোগাযোগ করতে বলেন। সেই দিয়ে শুরু বিতর্কের। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ জানান, ইমরান খান এমন একটি অপরাধ করেছেন যার জন্য তাকে 'যেকোন মূল্যে শাস্তি' পেতেই হবে। এখন দেখার ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর আসনে ফেরেন নাকি তার স্থান হয় গরাদের ওপারে!