২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন


মিরসরাইয়ে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০১-২০২২
মিরসরাইয়ে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ফাইল ফটো


চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। 

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই পৌর সদরের ফুট ওভারব্রিজের নিচে সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো: মিরসরাই কলেজ ছাত্রলীগ আহ্বায়ক কমিটি সদস্য শাহনেওয়াজ নিশাদ (২৬), রাজু (২৪), শাকিব (২৪), সজিব (২০), মো. হাসান (২০)। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সড়কে কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং-এর ঘটনায় ছাত্রলীগের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে ধাওয়া দেয়। এরপর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিরসরাই পৌরসভা মার্কেটের সামনে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ নিশাদ ও তার সহপাঠীদের ওপর হামলা হয়। হামলায় নিশাদ, রাজু, শাকিব ও সজিব, হাসান নামের পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়।

এরপর ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরসরাই পৌর বাজারের ফুট ওভার ব্রিজের নিচে আহত ছাত্রলীগ নেতা নিশাদের গ্রুপের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় মিরসরাই পৌরসভা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর। একইদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুনরায় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শাহনেওয়াজ নিশাদ কর্মীরা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ তালবাড়ীয়া গ্রামে হামলা চালায় জাফর ইকবালের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াদের বাড়িতে।

এসময় তারা ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং রিয়াদকে না পেয়ে তার এবং তার বড় ভাই সালমানের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও আরেকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। 

হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা শাহনেওয়াজ নিশাদ অভিযোগ করেন, শনিবার সকালে আমার কলেজের এক শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসলে কয়েকজন বখাটে তাকে ইভটিজিং করে। এ সময় আমরা বখাটেদের ধাওয়া করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনার জেরে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবালের অনুগতরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল বলেন, আমি পারিবারিক কাজে নারায়ণগঞ্জে আছি। যে ঘটনা ঘটেছে এটি একটি ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে অহেতুক আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো ফোন করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আবছার বলেন, কলেজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসতে পারে। তবে ক্যাম্পাসে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসের বাহিরে ঘটতে পারে। তবে আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায়নি।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) রাজিব পোদ্দার জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ