মঙ্গলবার সমুদ্র সৈকতেই এক বিশাল চেহারার বিষধর সামুদ্রিক সাপ দেখা গেল। একেই বিষধর, তার উপর ওর বীভৎস চেহারা দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। রক্ষে এই, সাপটি কাউকে আক্রমণ করেনি। তবে হঠাৎ উপকূলে এসে ভিড়বার নেপথ্যের কারণ স্থানীয়রা বুঝতে পারেননি।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া উপকূলে পাওয়া গিয়েছে একটি ধাতব অজ্ঞাত বস্তু। বস্তুটিকে ঘিরে সারা বিশ্বেই রহস্য দানা বেঁধেছে। একদল বিশেষজ্ঞদের মতে, সেটি একটি রকেটের ভাঙা টুকরো। এই টুকরোটি সমুদ্রে ভেসে আসার আগেই চাঁদে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩। ফলে সেই রকেটের ভাঙা টুকরো কিনা সেই নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে। ইতিমধ্যে ইসরোর প্রধান জানিয়েছেন এই বস্তুটি চন্দ্রযানের টুকরো কিনা সেই নিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। খতিয়ে দেখার পর তা নিয়ে মন্তব্য করা হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিমান বিশেষজ্ঞদের কথায় গত ১২ মাসের মধ্যে কিছু রকেট পাড়ি দিয়েছে মহাকাশে। তাদের ভাঙা টুকরো হবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
তবে এই ডামাডোলের মধ্যেই সমুদ্র সৈকতে মিলল সামুদ্রিক সাপ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সানশাইন বিচে পাওয়া গিয়েছে এই সাপটিকে। সানশাইন বিচের সর্পবিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তাতে তাঁরা জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠাতে। একই সঙ্গে তাঁরা বলেন, সাপটিকে ভুলেও হাত দিয়ে ধরা বা কিছু দিয়ে খোঁচানোর চেষ্টা করা ঠিক নয়। তাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে যে কারওর। তাদের তরফে বলা হয়, সাধারণত আহত বা দুর্বল থাকলে সাপ সমুদ্রে থেকে উঠে ডাঙায় আসে। এই ধরনের সামুদ্রিক সাপ ভীষণ বিষধর। এদের কোনওভাবে বিরক্ত করা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা। একমাত্র সর্প বিশেষজ্ঞরাই এদের সামলাতে পারদর্শী। এই দিনের পোস্টে একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয় তাঁদের তরফে। বলা হয়, এমন সাপ দেখলেই যেন সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে খবর দেওয়া হয়।