বলিউডের অলিন্দে অমিতাভ-রেখা-জয়া এই তিন অভিনেতাকে নিয়ে চর্চার কোনও শেষ নেই। এই তিন অভিনেতা অভিনেত্রীর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কম জল্পনা নেই আরব সাগর তীরে।
১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সিলসিলা’ যেন উসকে দিয়েছিল রেখা অমিতাভের 'পরকীয়া' গুঞ্জনকে। পর্দার আড়ালের গসিপ যেন আচমকা ফুটে উঠেছিল সেলুলয়েডের পর্দায়।
তবে প্রেমের বা সম্পর্কের কেমিস্ট্রিই হোক বা চোখ ধাঁধানো রূপের জৌলুশ, অথবা অভিনয়ের দক্ষতার চূড়ান্ত মাইলফলক ছুঁয়ে যাওয়া, আজও রীতিমত চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী রেখা। কিন্তু এহেন অভিনেত্রী রেখাকে ২০১৪ সালের পর থেকে আর পর্দায় দেখাই যায়নি।
অভিনেত্রী রেখার পর্দায় অন্তর্ধানের পিছনে আসল কারণ কী? হাজার একটা প্রশ্ন তৈরি করেছিল অনুরাগীদের মনে।
কেন আর কোনও ছবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি রেখা? কোনও ভাবে অমিতাভ কী কারণ অভিনেত্রীর এই পর্দা থেকে হারিয়ে যাওয়ার পিছনে?
সম্প্রতি সেই নিয়েই মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, রেখা তার বিরল কথোপকথনে শেয়ার করেছেন, নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবনের ভাবনা সম্পর্কেও।
প্রসঙ্গত, প্রকাশ্যে এসেছে নামী এক ম্যাগাজিনের কভার পেজে রেখার ফটোশ্যুটের ছবি। তার সঙ্গে রেখার বেশকিছু AI ছবিও ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবির চিত্রনাট্যের ব্যাপারে বড্ড খুঁতখুঁতে তিনি। সেই কারণে একটা সময় বহু ছবির অফার ছেড়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রেখা জানিয়েছেন, ‘আমি ছবি তৈরি করি অথবা না করি, সিনেমা কখনওই আমাকে ছেড়ে যায় না। আমি যা ভালোবাসি, তা আবার নতুন করে তুলে ধরার জন্য পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যাই। যখন সঠিক সময় আসবে, তখন সঠিক প্রজেক্টে আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। আমার জীবন আমার নিজের, কিন্তু আমার সিনেমাটিক ব্যক্তিত্ব দর্শকের।’
সাক্ষাৎকারে রেখা আরও বলেন, ‘আমি কোথায় থাকতে চাই এবং কোথায় থাকতে চাই না, তা বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি যা পছন্দ করি, তা বেছে নেওয়ার অধিকার অর্জন করতে পেরে আমি ধন্য। তাই সহজ ভাবে কোনও প্রজেক্ট রিজেক্ট করার বিলাসিতাও রয়েছে আমার।’
অভিনেত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়, যখন কেউ কাউকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলে, তখন সেই ভালোবাসার ভার কী সারাজীবন থেকে যায়, নাকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষয়ে আসে?
রেখার তরফ থেকে জবাব আসে, ‘না। একবার সম্পর্ক তৈরি হলে, তা চিরকালের জন্যই রয়ে যায়। মাঝে মধ্যে প্রত্যাশা বাড়লেও কখনও কখনও যেটুকু পাওয়া গিয়েছে, যথেষ্ট বলেই মনে হয়।’