চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া নারীদের মরদেহের সাথে যৌন লালসা চরিতার্থ করার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চমেক হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম সেলিম। অস্থায়ী ভিত্তিতে তিনি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাহারাদার হিসেবে কাজ করছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সেলিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই নারীর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের কথা স্বীকার করেছে।
বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে চান্দগাঁও ও চকবাজার এলাকা থেকে দুটি লাশ আসে। এর মধ্যে একটি ১২-১৩ বছরের এক মেয়ে ছিল। দুইজনের সঙ্গে সেলিম বিকৃত যৌনাচার করে। ডিএনএ প্রোফাইলিং করার জন্য চিকিৎসকরা সিআইডিতে সোয়াব পাঠায়। তখন প্রোফাইলিং করতে গিয়ে দুইজনের শরীরেই এক ব্যক্তির শুক্রাণু পাওয়া যায়। পরে তদন্ত করে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেলিমের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি থানা পুলিশ থেকে আমাদের কাছে এনে রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিআইডির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ বছরের এক কিশোরীর মরদেহ আসে চমেক হাসপাতালের মর্গে। একইভাবে এপ্রিল মাসেও আরেক নারীর মরদেহ আসে মর্গে। ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চিকিৎসকরা মৃতদেহ দুটিতেই এইচভিএস (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) পান। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা মত দেন দুটি মরদেহেই একই পুরুষের শুক্রাণু। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে সিআইডি।
তদন্ত নেমে সিআইডি জানতে পারে, সেলিম মর্গে দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। কোনো অল্প বয়সী নারীর লাশ মর্গে আনা হলে পরের দিন কিংবা কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে লাশগুলোর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করে সেলিম।
রাজশাহীর সময় /এএইচ