২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৩৩:২২ পূর্বাহ্ন


সেনাবাহিনীতে ভয়ঙ্কর হামলা, ৬২০ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৭-২০২৩
সেনাবাহিনীতে ভয়ঙ্কর হামলা, ৬২০ জনের মৃত্যু ফাইল ফটো


রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রমাগত ভয়াবহ হয়ে উঠছে। যুদ্ধ শুরু হয়ে দেড় বছর হতে চলেছে। তবে এখনও যুদ্ধের নৃশংসতা বিন্দুমাত্র কম হয়নি। বরং যত দিন যাচ্ছে, যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। যার ফলে ইউক্রেনের প্রতিদিন বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

পাল্টা ইউক্রেনীয় বাহিনীও রাশিয়ান বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে রাশিয়ান বাহিনীতেও মৃত্যু মিছিল লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ১৭ জুলাই পর্যন্ত যুদ্ধে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, একদিনে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে ৬২০ জন সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ান বাহিনীর ২৩৮,৩০০ জন সৈন্যকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তরফে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেই ইউক্রেনের ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চল এবং ডোনেটস্ক অঞ্চলের ক্রামতোর্স্কে রাশিয়ান বাহিনীর হামলার ফলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। ডিনিপ্রোপেট্রোভস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি লাইসাক বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও গতকাল রাতেও রাশিয়ানরা ড্রোন দিয়ে ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক এলাকায় আক্রমণ করেছিল। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে ড্রোনগুলিকে গুলি করে ধ্বংস করে। এই হামলার বিষয়েও নিশ্চিত করেছেন ডিনিপ্রোপেট্রোভস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি লাইসাক। এছাড়াও রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের ক্রামতোর্স্কে রকেট হামলা চালায়। এই হামলার ফলে ২ জন আহত হয়েছেন। আবাসিক ভবন এবং শিল্প এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডোনেটস্কের আরএমএ প্রধান পাভলো কিরিলেনকো এই হামলার বিষয়ে জানিয়েছেন। এছাড়াও হামলা হয়েছে ভুলেদার, পেরেচিস্টিভকা, কোমার, ভেলিকা নোভোসিল্কা, কুরাখোভ, নিউইয়র্ক, চাসিভ ইয়ার, কোস্তিয়ান্তিনিভকা, প্লেশচিভকা, ইয়ামপোল, সিভার্সক এবং জভানিভকাতে। এইসব এলাকাগুলিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ইউক্রেনের কিয়েভ, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, দোনেত্‍স্ক, পোলতাভা, চেরকাসি, সুমি ও খারকিভ অঞ্চলে বর্তমানে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। হামলা হলে তা প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।