দু'দিন কারাবাসের পর নিউ ইয়র্কের আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মারামারির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন দেওয়ান। শুক্রবার (২৪ জুলাই) নিউ ইয়র্কের কুইন্সের আদালত থেকে বিকেলে জামিন পেয়ে ঘরে ফিরেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মারামারির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন দেওয়ানকে গত বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ১১০ কুইন্স প্রিসিনক্টে আটক করা হয়। ওইদিন বিকেলে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কুইন্স প্রিসিনক্টে মারামারির ঘটনার জবানবন্দি দিতে গিয়েছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি।
গত রোববার ২ জুলাই বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মহিউদ্দীন দেওয়ানের সাথে সংঠনের কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঘুষাঘুষিসহ চেয়ার ও পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঠনের সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী অনেক চেষ্টা করেও তাদেরকে থামাতে পারেননি। এ ঘটনায় আহত হন নওশেদ হোসেন। তার সর্মথকরা চড়াও হয়ে ওঠেন মহিউদ্দিনের ওপর। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চেয়ার এসে অপর সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরীর গায়েও লাগে। ক্রীড়া সম্পাদক মইনুল উদ্দীন মাহবুব ক্ষুব্ধ মহিউদ্দীনকে জড়িয়ে ধরেও থামাতে পারছিলেন না। নিক্ষেপে আহত হয় সহ-সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। মারামারি শেষে সভাপতি উভয়ের হাতে হাত মিলিয়ে দেন। এক পর্যায়ে মহিউদ্দীন দেওয়ান সভা ত্যাগ করে চলে যান।
এর মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত নওশেদের আঙুল ফুলে যাওয়ায় তিনি পুলিশে ফোন করেন। এ সময় ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেছেন। এম্বুলেন্সের ভেতরে তার আঙুলের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
২ জুলাই বাংলাদেশ সোসাইটির সভায় অপ্রীতিকর উক্ত ঘটনায় নওশেদের অভিযোগের তদন্ত করছিল পুলিশ। গত বুধবার নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে ফোনে তাকে কুইন্স প্রিসিনক্ট পুলিশের কাছে হাজির হতে বলেন। তিনি হাজিরা দিতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করেন। আটক মহিউদ্দিনের জামিনের জন্য তার পরিবারের সদস্যরা আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।