দক্ষিণ কোরিয়াতে টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ভূমিধস-প্রবণ অঞ্চল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে কোরীয় সরকার।
চলতি মাসে প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। গত এক পক্ষকাল ধরে তুমুল বৃষ্টি ভারত, চীন ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এসব দেশে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যা ভূমিধস থেকে বাদ যায়নি দক্ষিণ কোরিয়াও। টানা তিনদিনের বিরতিহীন ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটি। ভারী বৃষ্টি আর প্রচণ্ড বাতাসে রাজধানী সিউলসহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া সিউলের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার। বন্যায় ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। বিমানের বহু ফ্লাইটসহ বুলেট ট্রেন কেটিএক্সের নিয়মিত শিডিউল বাতিল করা হয়েছে।
কোরিয়ার সেন্ট্রাল ডিজাস্টার অ্যান্ড সেফটি কাউন্টারমেজার থেকে জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ জুলাই) থেকে এখন পর্যন্ত ভূমিধসে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন সাত জন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে ধারনা করা হচ্ছে। এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
দক্ষিণ চুংচেং প্রদেশের ননসানে একটি ভূমিধস দুজন, সেজং শহরের মধ্যাঞ্চলে মাটি ধসে একজন, দক্ষিণ-পূর্ব কাউন্টি ইয়েংজু এবং চেওংইয়ংয়ের সিটিতে ভবন ধসে চারজন, গিয়ংসাং শহরে দুই নারী ও সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গোয়েসান শহর থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উত্তর জেওলা প্রদেশের ইকসান বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) থেকে ৪৩৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং গুনসানে ৪২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে কিছুক্ষণ পরপরই মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জনসাধারণকে সতর্কতা জারি করছে কোরিয়ার আবহাওয়া দফতর। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।