নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধ্বলি গ্রামে এ ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন: সোনাগাজী থানার আদর্শ গ্রাম তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জহিরুল হক ও দুই কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন ও কায়ছার হামিদ। এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করে পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে ছোটধ্বলি গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ওপর তিন পুলিশ সদস্য তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে মারধর শুরু করেন। পরে ব্যবসায়ীর কোমরে থেকে দেড়লাখ টাকার বান্ডিল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে সিএনজিসহ তিন পুলিশকে আটক করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীর দেড়লাখ টাকা উদ্ধার করে এবং তাদেরকে গ্রামবাসী সোনাগাজী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, তিন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মুছাপুরের স্থানীয় লোকজনের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র, তবে বিষয়টি সমাধান করা হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ধ্বলি গ্রামে ছিনতাইয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আমলে নিয়ে সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) বদরুল আলম মোল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ