১২ মে ২০২৪, রবিবার, ০২:০৯:১২ অপরাহ্ন


ভক্তের পাঠানো ওষুধে চোট সারলো মঈনের
ক্রীড়া ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৭-২০২৩
ভক্তের পাঠানো ওষুধে চোট সারলো মঈনের এজবাস্টন টেস্টে তর্জনীর মাথায় ফোসকা পড়ে মঈনের। ছবি: সংগৃহীত


প্রিয় তারকার জন্য ভক্তরা কতকিছুই না করেন! পছন্দের খেলোয়াড়ের ম্যাচ দেখতে সাগর-নদী পাড়ি দেয়া থেকে শুরু করে তার মঙ্গলের জন্য উপাসনা- সবই করেন ভক্তরা। অনেকে তো পছন্দের তারকার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করে যান সারাজীবন। সম্প্রতি ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলীর জন্য বিশেষ কিছু করেছেন তার এক নারী ভক্ত।

দলের প্রয়োজনে অবসর ভেঙে অ্যাশেজে ফিরেছেন মঈন আলী। ডানহাতি অলরাউন্ডারকে দলে ফেরানোর সবচেয়ে বড় কারণ ছিল তার অফস্পিন বোলিং। কিন্তু বিধি-বাম। দীর্ঘদিন পর এজবাস্টন টেস্টে ফেরা মঈন প্রথম ম্যাচে টানা বোলিং করলে তর্জনীর মাথায় ফোসকা পড়ে যায়। তাই শেষদিনে কম বোলিং করার পাশাপাশি দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকেই বাদ পড়ে যান তিনি।

 অবশ্য এই সময় মঈনকে বড্ড দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। কারণ এই অলরাউন্ডারের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা ইংলিশদের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই টিম ম্যানেজমেন্টের মতোই মঈনকে দ্রুত মাঠে ফেরানোর জন্য কাজ করেছেন এক ভক্তও!
 
এজবাস্টন টেস্টে হারের পর একটি মেইল পান মঈন। মেইলটি ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিসের (এনএইচএস) এক নারী কর্মীর। নিজেকে মঈনের ‘বড় ভক্ত’ হিসেবে দাবি করে সেই নারী ইংল্যান্ড অলরাউন্ডারের আঙুলের সমস্যার একটি সমাধান দেন।
 
এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মঈন বলেন, ‘তিনি (নারী ভক্ত) দাবি করেন, আমার আঙুলের কাটা ও ক্ষতস্থান তার চোখে পড়েছে। এরপর তিনি মেডিহানি (মধু থেকে তৈরি ওষুধ) পাঠান। এটা মানুকা হানি (মানুকাগাছের ফুল থেকে বানানো মধু) থেকে বানানো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল জেল, যা ক্ষত মোচন করে। (ওষুধটি) বিস্ময়কর কাজ করেছে, ক্ষতটা খুব দ্রুত শুকাতে শুরু করেছে। এখন আমি যতটা সম্ভব বোলিং করতে চাই।'
 
ওষুধ যে ভালোভাবেই কাজ করেছে সেটা স্পষ্ট। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে ১৭ ওভার বল করে ২টি উইকেট নেন মঈন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে সেরা দুই তারকা স্টিভেন স্মিথ ও মারনাস লাবুশেনকে আউট করেছিলেন। এই উইকেট দুটি ইংল্যান্ডের জয়ে অবদানও রেখেছে বেশ।
 
নারী ভক্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মঈন বলেন, ‘তিনি শুধু জানিয়েছেন, আর এনএইচএসে চাকরি করেন এবং নিজেও এই ওষুধ ব্যবহার করেছেন। সিরিজ শেষে আমি তাকে মেইল করব। অসাধারণ লেগেছে তার কাজটি। আমি একজন ক্রিকেটার এবং আমার প্রতি কেউ এমন সহানুভূতিশীল আচরণ করলেন, যিনি আমাকে কখনো দেখেনওনি। এসব কারণেই ইংল্যান্ড একটি অসাধারণ জায়গা।’