২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৪০:২৯ অপরাহ্ন


ফসলি জমিতে পুকুর খনন পাকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বানিজ্যে
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৫-২০২৪
ফসলি জমিতে পুকুর খনন পাকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বানিজ্যে ফসলি জমিতে পুকুর খনন পাকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বানিজ্যে


রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার  ধুরইল ইউনিয়নের (ইউপি) খাঁনপুর গ্রামে ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন, খাস জমিদখল, পানি প্রবাহের ব্রীজের মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি  ও  সরকারি পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বাণিজ্যের

অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ভেকু মেশিন (মাটিকাটা যন্ত্র) ও অবৈধ ট্রাক্টরের বিকট শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ট্রাক্টরে মাটি বহনের সময় কাঁদা মাটি রাস্তায় পড়ে রাস্তা নষ্ট ও ধুলাবালিতে পরিবেশ দুষণে বাসা বাড়িতে থাকায় কঠিন হয়ে পড়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয়রা জানান, মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপির মল্লিকপুর গ্রামের হাজি ওমর আলী গ্রামবাসির  বাধা উপেক্ষা ও প্রভাববিস্তার করে জোরপুর্বক পুকুরের কাদামাটি পরিবহন করে সরকারি কাঁচাপাকা রাস্তা নষ্ট, পরিবেশ দুষণ ও অবৈধভাবে ফসলি জমি ভরাট করছেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোনো পুরাতন পুকুর খনন করতে চাইলে তা যথাযথ নিয়ম মেনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে তারপর অনুমোদন নিতে হয়। সেখানেও বলা থাকে পুকুর খননের মাটি যেনো কোনো পাকা বা কাঁচা রাস্তায় না উঠে। অথচ এসব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেই দীর্ঘ প্রায় এক মাস যাবত প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধ মাটি বানিজ্যে করা হচ্ছে। অথচ অজ্ঞাত  কারণে উপজেলা বা পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি জানেন না।

এদিকে একখন্ড খাস জমি পেতে এলাকার ভুমিহীনেরা যখন বিভিন্ন প্রশাসনের দপ্তরে  ঘুরে ঘুরে হয়রান। তখন বিপুল পরিমাণ খাস জমি হাজি ওমর আলী নিয়ন্ত্রণে  নেয়ায় ভুমিহীনদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে এসব ভুমিহীন মানুষেরা অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন, এই পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যে বড় অঙ্কের টাকা হাতবদল হয়েছে। যে কারনে সবাই বিষয়টি দেখেও না দেখার অভিনয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে তারা মনে করছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, পুরাতন পুকুর  সংস্কারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে মাটি পরিবহনের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি বলেন  এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে  দেখা হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে  হাজি ওমর আলীর পুত্র সুজন আলী বলেন, সবকিছু ম্যানেজ করে পুকুর সংস্কার ও মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খাস জমি দখল করা হয়নি তাদের পুকুরের মাঝে কিছু খাস জমি রয়েছে সেটা খনন করা হয়নি।