স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ফাহিমা আক্তার নামের এক তরুণীর (২৪) সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন বরগুনার তালতলীর মো. হাসান (৩৪)। আজ সকালে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। এতে বাধে বিপত্তি।
স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাদের ছেড়েও দেয়। পরে ওই তরুণীর সঙ্গে স্বামী হাসানের বিয়ে দিয়েছেন স্ত্রী অজুফা বেগম (২৯)।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তালতলী থানা চত্বরে একটি চায়ের দোকানে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় বড় বউ অজুফা বেগমেরও নতুন করে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজি মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ।
উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজান পাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে মো. হাসান।
স্থানীয়রা জানান, ১০-১২ বছর আগে অজুফা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় হাসানের। এরপর ফাতিমা আক্তার নামের ওই তরুণীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আজ সকালে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় দেন।
হাসানের বড় বউ অজুফা বেগম বলেন, স্বামীর প্রেম ঠেকাতে নিরূপায় হয়ে এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।
জানতে চাইলে মো. হাসান বলেন, ‘আমার প্রথম স্ত্রী এই বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে। আমার প্রথম বিয়ের কাবিননামা করা ছিল না। আজ আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিন সম্পন্ন করা হয়।
তালতলী থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা হাসান ও তার প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে তাদের উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজনের কাছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাজশাহীর সময় / এফ কে