কর্ণফুলী টানেল নামে পরিচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যানবাহনের শ্রেণী অনুযায়ী টোল হার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর নীচ দিয়ে নির্মিত এই টানেলে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না।
তিন দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলে সর্বনিন্ম টোল ২০০ টাকা। প্রাইভেটকার পারাপারে এই টোল দিতে হবে। প্রতিবার পিকআপ পারাপারে টোল লাগবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৩০০ টাকা। ৩২ আসনের বেশি বাসের টোল ৪০০ টাকা। তিন এক্সেল বিশিষ্ট বড় বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাক পারাপারে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলের ট্রেইলারে টোল লাগবে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রেইলারে দিতে হবে এক হাজার টাকা। পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দিন থেকে এই টোল হার কার্যকর হবে। টানেল উদ্বোধনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আভাস দিয়েছেন নির্বাচনের আগে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের প্রথম টিউবের নির্মাণ কাজের সমাপ্তি করেন। প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বিদেশে রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে কথা বলেননি সেতু সচিব মনজুর হোসেন। তাই তাদের কাছে জানা যায়নি কবে খুলবে টানেল।
কর্ণফুলী আমানত শাহ সেতুর তুলনায় যানবাহনের শ্রেণী অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু টানেলে আড়াই থেকে ছয় গুণ টোল দিতে হবে। আমানত শাহ সেতুতে প্রাইভেট কারের টোল ৭৫ টাকা। সেতুতে ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৫০ টাকা। টানেলে তা ৩০০ টাকা। ফলে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেলকে প্রযোগিতায় পড়তে হবে সেতুর সঙ্গে। যদিও সেতুর তুলনায় টানেলে কম সময়ে যানবাহন পারাপার হতে পারবে।