ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে ইউক্রেনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। গত প্রায় দেড় বছর ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে যে আগ্রহ আরও তীব্র হয়েছে। কিন্তু এখনও মেলেনি সেই সদস্যপদ। এই পরিস্থিতিতে ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
মঙ্গলবার ভিলনিয়াসে এক সভায় রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল তাঁকে।
অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন ন্যাটো এখনও কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়নি তাঁদের সদস্যপদ দেওয়ার। তাঁর কথায়, 'ইউক্রেনকে কখন আমন্ত্রণ জানানো হবে, তার জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ না করাটা অযৌক্তিক। মনে হচ্ছে এব্যাপারে কোনও প্রস্তুতিই বুঝি নেই।' সেই সঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ন্যাটো ইউক্রেনকে নিরাপদ করবে, ইউক্রেনও ন্যাটোকে শক্তিশালী করবে।'
এরই সঙ্গে জেলেনস্কিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'প্রতিরক্ষাতেই আমাদের অগ্রাধিকার। এবং আমি আমার সঙ্গীদের কাছে কৃতজ্ঞ নতুন পদক্ষেপের জন্য। আমাদের যোদ্ধাদের চাই আরও অস্ত্র। ইউক্রেনের জন্য চাই আরও বেশি সুরক্ষা।' গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই চলছে ইউক্রেনের। ন্যাটো কিন্তু পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ২০০৮ সালেই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হলেও যুদ্ধ চলাকালীন তা সম্ভব নয়। এমনকী, যুদ্ধ শেষ হলেই তা মিলবে এমনও নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে ইউক্রেনকে।
ভিনিয়াসে ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিলের উদ্বোধন ছিল মঙ্গলবার। বুধবার বাইডেনের সঙ্গে জেলেনস্কির সাক্ষাত্ করার কথা। জানা যাচ্ছে, তিনি আরও অস্ত্রশস্ত্রের আরজি জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে। মনে করা হচ্ছে, কেবল আমেরিকাই নয়, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশও ইউক্রেনকে আরও বেশি সামরিক সাহায্যের আশ্বাস দিতে চলেছে।
ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে ইউক্রেনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। গত প্রায় দেড় বছর ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে যে আগ্রহ আরও তীব্র হয়েছে। কিন্তু এখনও মেলেনি সেই সদস্যপদ।