২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪০:২২ পূর্বাহ্ন


স্ত্রীর টাকায় পড়াশোনা, চাকরি পেয়েই তাকে অস্বীকার!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৭-২০২৩
স্ত্রীর টাকায় পড়াশোনা, চাকরি পেয়েই তাকে অস্বীকার! সরকারি ট্যাক্স কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর অন্য সঙ্গী বেছে নিয়েছেন কামরু হাথিল


স্বামীর পড়াশোনার খরচ জোগাতে অন্যের বাড়িতে বাসন মাজতেও দ্বিধা করেননি স্ত্রী। স্বামীর সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পাওয়ার পর আর সেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটালেন স্বামী। সরকারি ট্যাক্স কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর অন্য সঙ্গী বেছে নিয়েছেন তিনি।

মর্মান্তিক এই ঘটনা ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি ওই ট্যাক্স কর্মকর্তার নাম কামরু হাথিল। তার স্ত্রীর নাম মমতা। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা কামরু এবং মমতা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ২০১৫ সালে। সেই সময় কামরু ছিলেন বেকার যুবক। স্নাতক হলেও চাকরি জোটেনি। মমতাই কামরুকে বলেছিলেন সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে। কথা দিয়েছিলেন, যাবতীয় খরচ তিনি জোগাবেন।

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পেছনে খরচও কম নয়। মমতা সেই খরচ চালানোর জন্য গৃহপরিচারিকার কাজ করতেও দ্বিধা করেননি। মমতা বলেন, তিনি বাড়ি বাড়ি বাসন মাজা, ঘর মোছার কাজ করেছেন। কামরু যাতে তার প্রয়োজনীয় বই হাতে পেতে পারেন, সে জন্য বাড়তি সময়ে বইয়ের দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। অবশেষে ২০১৯-২০ সালের কমার্শিয়াল ট্যাক্স কর্মকর্তার পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি। সরকারি চাকরি নিয়ে মধ্যপ্রদেশের রতলামে যোগদানও করেছেন। তার পরই মমতা সম্পর্ক ভাঙার আঁচ পান।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, চাকরিতে যোগদানের পরপরই মমতাকে তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য করেন কামরু। অন্য এক নারীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নিজের বাড়িতে। মমতাকে তিনি জানিয়ে দেন, আর তার সঙ্গে থাকতে চান না। 

২০২১ সালে এই ঘটনার পর মমতা মামলা করেছিলেন কামরুর বিরুদ্ধে। কামরু সেই সময় আদালতকে বলেন, মমতা তার স্ত্রী। তাকে মাসে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। সম্প্রতি মমতা অভিযোগ করেছেন, কামরু তার প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। যে কারণে তিনি আবারও মামলা করেছেন তার স্বামীর বিরুদ্ধে।