২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তার আগে বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতে কাজ করেছেন। ২০১৮ সালে অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কোঙ্কনা সুন্দরী। বিয়ের পর থেকে দীপিকার কেরিয়ার যেন উর্ধ্ব গগনে।
কর্মজীবনের শুরুতে একাধিক বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন দীপিকা। কিন্তু ‘ককটেল’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেত্রী কেরিয়ারের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি অভিনেত্রী।
ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের অন্যতম দীপিকা। সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘পদ্মাবত’ ছবির জন্য ১৩ কোটি টাকা চার্জ করেছিলেন অভিনেত্রী। ছবিতে দীপিকার সহ-পুরুষ অভিনেতারা মাত্র ১০ কোটি টাকা করে পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম পুুরুষ সহ-অভিনেতাদের থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন।
দীপিকা পাড়ুকোনের আয় :
ট্রেডিং এবং ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি স্টকগ্রোর একটি টুইট অনুসারে, অভিনেত্রী প্রতি বছর ৪০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন। ২০১৮ সাল থেকে ‘পাঠান’ অভিনেত্রী তাঁর পারিশ্রমিকও বাড়িয়েছেন। পাডুকোন ছবি পিছু ১৫ কোটি টাকা করে চার্জ করেন। ব্র্যান্ড অনুমোদনের জন্য ৭-১০ কোটি টাকা নেন। প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য চার্জ করেন ১.৫ কোটি টাকা (ইনস্টাগ্রাম, টুইটার)।
২০২৩ সালে দীপিকা পাড়ুকোনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ:
অভিনয় জীবনের পাশাপাশি, তিনি বেশ কিছু ব্যবসায়িক বিনিয়োগও করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে তার স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড 82°E। দীপিকার নিজের প্রোডাকশন হাউসও আছে যার নাম কা প্রোডাকশন। ব্যবসা এবং সম্পত্তি মিলিয়ে দীপিকার নেট ওয়ার্থ ৪৯৭ কোটি টাকা। মুম্বইয়ে ৬ কোটি টাকা এবং ১১৯ কোটি টাকার দুটি বাড়ি রয়েছে দীপিকার।
দীপিকার আসন্ন কাজ:
দীপিকা পাড়ুকোনকে পরবর্তীতে দেখা যাবে নাগ অশ্বিনের ‘প্রোজেক্ট কে’-তে। এই ছবির হাত ধরে তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখবেন অভিনেত্রী। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী শাহরুখ খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘জওয়ান’য়ে একটি ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করবেন। চলতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে এই ছবি। এছাড়াও দীপিকার হাতে রয়েছে হৃতিক রোশনের সঙ্গে ‘ফাইটার’।