ভালবাসার মানুষকেই জ্যান্ত কবর দিয়ে খুন করলেন যুবক! প্রেমের প্রস্তাব ফেরানোয় তরুণীকে প্রাণে মারার অভিযোগ উঠল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক যুবকের বিরুদ্ধে। খুনের আগে তাঁর দেহ তার দিয়ে বাঁধেন। তার পর জীবন্ত অবস্থায় তাঁকে কবর দিয়ে তিলে তিলে প্রাণে মারেন বলে অভিযোগ। নিহত ২১ বছরের জসমিন কউর নার্সিং পড়ুয়া ছিলেন। থাকতেন অস্ট্রেলিয়ায়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা ভারতের রাজধানীতে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। যদিও শ্রদ্ধা এবং জসমিনের ঘটনায় অনেক তফাত রয়েছে। মিল একটাই যে, ভালবাসার মানুষের হাতে মৃত্যু।
জসমিনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তারিকজ্যোত সিংহকে। অপরাধের কথা স্বীকারও করেছেন ওই যুবক। বুধবার এই মামলার শুনানিতে জসমিন হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে জসমিনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তারিকজ্যোতকে।
কিন্তু কেন খুন করা হল জসমিনকে? আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারিকজ্যোতের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জসমিন। এই প্রত্যাখ্যান কিছুতেই মানতে পারেননি তারিকজ্যোত। সেই কারণেই রেগে যান ওই যুবক। জসমিনের মা রাশপল জানিয়েছেন, জসমিন বহু বার তারিকজ্যোতের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই জসমিনের পিছু ছাড়ছিলেন না তারিকজ্যোত।
এক দিন অ্যাডিলেডে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জসমিন। সেই সময়ই তাঁকে অপহরণ করেন তারিকজ্যোত। তার দিয়ে জসমিনের হাত-পা বেঁধে চার ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তাঁকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান ওই যুবক। তার পর জীবন্ত অবস্থায় তাঁকে কবর দেওয়া হয়। ফ্লিন্ডার্স রেঞ্জেস এলাকায় একটি কবর থেকে জসমিনের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর চোখ বাঁধা ছিল। তার দিয়ে হাত-পা বাঁধা ছিল। এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে সে দেশে। তারিকজ্যোতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।