২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৩:২৫ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রে মামলাবাজ রাব্বির বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে গোয়েন্দা তদন্ত
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে মামলাবাজ রাব্বির বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে গোয়েন্দা তদন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মামলাবাজ রাব্বির বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে গোয়েন্দা তদন্ত


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রাব্বি আলমের অভিযোগকারী ধান্দাবাজ রাব্বি আলমের রাজনৈতিক স্বার্থকে খতিয়ে দেখতে তার বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্রাট দলীয় কংগ্রেসম্যান। গত রবিবার (২ জুলাই) সকালে আমেরিকার মুলধারার মিডিয়া পিবিএস টীভিতে একটি টকশোতে উক্ত কংগ্রেস নেতা একটি প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন বলে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি জামিল তালুকদারের বরাত দিয়ে পরিষদের ওপর নেতা ও নাট্যকার খান শওকত এ তথ্য জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একের পর এক মামলার নামে অভিযোগপত্র দায়ের করে যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রাব্বি আলম। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের প্রবাসীরা তাকে একজন প্রচার পাগলা ও মামলাবাজ বলেই জানেন। সাম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে ভিসানীতি ঘোষণা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পররাষ্ট্র দপ্তরকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে তিনি দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশিদের কাছে হাসির পাত্র হয়েছেন। মিডিয়ায় বাহবা পাওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করা হয়েছে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মামলাবাজ এই রাব্বি আলমসহ দেশ-বিদেশের অধিকাংশ গণপমাধ্যমকে কথিত সেই অভিযোগকে মামলা বললেও সেটা প্রকৃতপক্ষে কোন মামলাই নয়, ওটা আসলে একটি অভিযোগ বা নালিশ মাত্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাব্বি আলমের কথিত মামলায় বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রত্যাহারে আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও এ বিষয়ে মামলার নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য প্রমাণ মেলেনি।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন দায়িত্বশীল সহ-সভাপতি জানান আমেরিকার মুলধারার মিডিয়া পিবিএস টীভিতে একটি টকশোতে গত ২ জুলাই সকালে একজন ডেমোক্রাট কংগ্রেসম্যান একটি প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রাব্বি আলমের মামলা এবং তার রাজনৈতিক স্বার্থকে খতিয়ে দেখতে মার্কিন গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হতে পারে। আমেরিকার সিটিজেন হিসেবে অন্যদেশের ব্যবসায়িক স্বার্থ, অন্যদেশের রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ভাবমূর্তি ও সম্মানের বিষয়ে নিজ দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে এভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন কিনা তা তদন্ত করে দেখা যেতে পারে। তার উদ্দেশ্য যদি অসৎ হয় এবং মিডিয়ায় উত্থাপিত বিষয় যদি অসত্য হয়, তাকে আমরা তদন্ত করতে পারি! এ বিষয়ে যদি কেউ ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন তদন্তের জন্য আরো সহজ হবে। ঠিক কী অভিযোগে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ও তার সরকারের বিরুদ্ধে এই মামলার আবেদন করেছেন রাব্বি আলম, তা ফেসবুক পোস্টেও স্পষ্ট করেননি তিনি।

এই মামলার আবেদনে রাব্বির সঙ্গে বাদী হিসেবে আরো আছেন তার দুই ভাই। রিজভী আলম ও শেরে আলম রাসু নামে সাবেক দুই প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা। রিজভী আলম খুলনা-৪ (রুপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া) থেকে এমপি প্রার্থী হবার চেষ্টা করছেন। এই মামলার সুখবর নিয়ে তিনি নোমিনেশান বাগিয়ে আনার চেষ্টা করছেন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপা পাওয়াই তার মূল উদ্দেশ্যে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থা ফ্রি ল প্রজেক্ট পরিচালিত অনলাইন লিগ্যাল ডাটাবেজের তথ্য অনুযায়ী, অভিবাসন সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ানি আইনের ৪৬৫ ধারায় মামলাটি ডকেটভুক্ত। মামলার নম্বর ৫:২৩-সিভি-১১৫২৩। মামলাটি প্রথমে বিচারক জুডিথ ই লিভির আদালতে উত্থাপন করা হয়। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট জাজ এলিজাবেথ এ স্ট্যাফোর্ডের কাছে পাঠিয়েছেন। এই মামলায় এখনো জুরি চাওয়া হয়নি।

এর আগে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রাব্বি আলম। তবে ওই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ মামলার ডকুমেন্টস এবং কোর্টের সত্য ডকুমেন্টস চেয়েছেন। মিশিগানের আদালতের ৪৬৫ ধারায় ডকেটভুক্ত মামলার নম্বর ৫:২৩-সিভি-১১৫২৩ মামলার আপডেট দরকার। মিশিগান ফেডারেল কোর্টে দায়ের হওয়া অভিযোগের তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো। যে কেউ অনলাইনে ফিস দিয়ে অনলাইন থেকে ডকুমেন্টের কপি তুলতে পারেনঃ

Alam v. Biden (5:23-cv-11523). District Court, E.D. Michigan. Last Updated: July 2, 2023, 7:30 a.m. Assigned To: Judith Ellen Levy. Referred To: Elizabeth A. Stafford. Citation: Alam v. Biden, 5:23-cv-11523, (E.D. Mich.) Date Filed: June 26, 2023. Date of Last Known Filing: June 28, 2023. Cause: No cause code entered. Nature of Suit: 465 Other Immigration Actions. Jury Demand: None. Jurisdiction Type: U.S. Government Defendant.

এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী নাট্যকার খান শওকত জানান, আমেরিকার নিম্ন আদালত সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে যে কোনো চিঠিপত্র নিয়ে গেলে তারা তা সরকারি রেজিস্ট্রারে সিরিয়াল নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট বক্সে জমা দিতে বলেন। রাব্বি আলম সেটাই করেছেন। এটা মামলা নয়, অভিযোগ। তবে প্রচার করছেন মামলা হিসেবে। আরো প্রচার করছেন ৬ জন আইনপ্রনেতাকে আসামী করে আরেকটি মামলা করবেন আগামী সপ্তাহে। এ রকম মিথ্যা প্রচার তিনি আগেও করেছেন। তিন বছর আগে আল জাজিরা টিভি এবং ইলিয়াস কনকগং-দের নামে এরকমই একটি অভিযোগকে মামলা হিসেবে বিশালভাবে প্রচার করেছিলেন। সেই মামলা/অভিযোগে তিনি এমনও লিখেছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের পরিবারের সদস্য। ঐ মামলার কপি জনসমক্ষে আমরা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নিন্দা জানিয়েছিলেন। সেই মামলার কি কোনদিন কোন শুনানী হয়েছে? হয় নাই। সেটাও ছিলো ভন্ডা্মি, এটাও তার ভন্ডামি। তিনি প্রচার পাগল মানুষ। সেই চেষ্টাই করেছেন। আর তার নামের সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি পদবী ব্যবহার করায় আমরা লজ্জা বোধ করছি। ভন্ডামী করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা কর্মীরা বাহবা নিতে পারেনা। আমরা সংগঠন করি আদর্শ ও ভালোবাসার বোধ থেকে। আমরা এই ভন্ডামী কাজের নিন্দা জানাচ্ছি। আল জারির টিভির বিরুদ্ধে করা মামলার মতো এবারের এই তথাকথিত মামলার বাদীও তারা তিন ভাই। এই তিনজনের একজন স্পেন প্রবাসী। প্রচার পাওয়ার জন্য তাকেও এসব মামলায় বাদী করা হয়েছে। বলুন দেখি স্পেনে বসে তিনি কিভাবে মিশিগান কোর্টে হাজিরা দেবেন?

এই প্রচার প্রপাগান্ডার নাম ভাঙ্গিয়ে মামলার এক বাদী রাব্বি আলমের আপন ছোট-ভাই স্পেন প্রবাসী মোঃ রিজভী আলম খুলনা-৪ (রুপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া) থেকে সাংসদ পদে নৌকার নোমিনেশান চাচ্ছেন! এটা যেন সফল না হয়। কারন আমরা কোন অসৎ ও ভন্ড সাংসদ চাই না।

মিশিগানের বাংলাদেশি সমাজে ‘ফাউল’ হিসেবে পরিচিত রাব্বি

মিশিগান প্রবাসীরা জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত, সামাজিক অবস্থান-সম্মান বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অসাংবিধানিক ও অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আরোপ ও প্রত্যাহার চেয়ে অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলায় সেক্রেটারি অব স্টেইট এন্টনী ব্লিনকেনকেও বিবাদী করা হয়েছে। মজার ব্যাপার মামলার বাদী রাব্বি আলমের বিরুদ্ধে কতটা মামলা আছে তা কি কেউ জানেন? তিনি মিশিগানের বিভিন্ন বাসায় থেকে বাড়ি ভাড়া না দিয়ে বাড়িঅলাদের হুমকিদামকি দিয়ে নিত্য বাড়ি বদল করা মানুষ। থাকেন মাটির তলায় বেসমেন্টে। বেকার। তার আয় রুজী হল জয় বাংলা শ্লোগান দেয়া। তিনি সবসময়ই আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে হাইলাইটেড হতে বিভিন্ন রকম হাস্যকর কাজ করে থাকেন। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন এই দেশে কি সাচ্চা আওয়ামী লীগার কম আছে? তাহলে রাব্বি আলম কেন মামলা করলেন!? স্রেফ প্রচার পাবার জন্য। তবে এটা পূর্নাঙ্গ মামলা নয়, অভিযোগ। আপনাদের মনে থাকবার কথা এর আগে তিনি আল জাজিরা টিভি, ইলিয়াস ও কনক সরোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এক দুই টাকার না ৫০০ মিলিয়নের। সেই মামলার কী অবস্থা ? তিনি বা তার অনুসারী কেউ কি কিছু বলতে পারবেন মামলাটির বর্তমান অবস্থা কী? কিছু বলতে পারবেন না। কারণ তখন কোন মামলাই হয়নি। তিনি ওদের নামে একটি কমপ্লেন লিখে আদালতে নথিভুক্ত করিয়েছেন। নিম্ন আদালত সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে যে কোনো চিঠিপত্র নিয়ে গেলে তারা তা সরকারী রেজিস্ট্রারে সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে নির্দিষ্ট বক্সে জমা দিতে বলে। তিনি তাই করেছেন। আর সেই সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে তিনি মানুষকে বুঝিয়েছেন তিনি ইলিয়াস কনকের নামে মামলা দায়ের করেছেন। আসলে তিনি ঘোড়ার ডিম করেছেন। আমেরিকাতে কারো নামে মামলা করা এত সহজ না। মামলা করতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হয়। রাব্বি আলমের সেই ফি জমা দেয়ার ক্ষমতা নেই। আল জাজিরা টিভি, ইলিয়াস ও কনক সরোয়ারের মামলা পরিচালনার খরচ শেয়ারের জন্য তিনি কতজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করেছিলেন এবং কতজন বিলিওনার হবার স্বপ্নে রাব্বীর পেছনে তখন হেটেছিলো তাতো আমরা দেখেছি। হ্যাঁ তার টাকা থাকুক আর না থাকুক এটুকু ক্ষমতা আছে কিছু দালাল সাংবাদিক পালার। সেটা তিনি করেছেন। যেমন দ্বীখন্ডিত হয়ে যাওয়া তার গ্রুপের বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি পদে আছেন একজন সাংবাদিক। তার সুবাদেই এই পাবলিসিটিগুলো তিনি পেয়ে থাকেন। যে লোক ইলিয়াস ও কনকের একটা চুল ছেড়ার ক্ষমতা রাখে না, যে লোকের নামে বাড়ি ভাড়া না দেয়ার অসংখ্য অভিযোগ আছে, সেই ভাঁড় করেছে জো বাইডেনের নামে মামলা? হাউ ফানি! হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না।

মিশিগানের প্রবাসীরা চেনেন, এই রাব্বি আলম সব সময় নিজে একটি মাইক ও সাউন্ড বক্স নিয়ে চলাচল করেন। কোন অনুষ্ঠান হতে দেখলেই সেখানেই ঢুকে পড়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিতে শুরু করে হকারের মতো। হোক তা মিলাদ মাহফিল, হোক কারো জানাযা, কিম্বা কারো বিয়ে। পরে অবশ্য ঠেলা ধাক্কা খেয়ে বের হতে হয়। কিন্তু এর মধ্যে তিনি কিছু ছবি তুলে নিয়ে তার স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। এসবের কারণে এলাকায় তাকে নিয়ে নানান রকম হাসি তামাশা প্রচলিত আছে। সিলেটিরা তাকে “মাইক অলা বেটা”বলে চেনে। কেউরে জিজ্ঞেস করলে বলে, ঔ মাইকঅলা বেটা নি? সে মূলত একজন প্রচারপাগল মানুষ। একসময় শিবির করতো, পরে জাতীয় পার্টি, এরপর নিজের গড়া বঙ্গবন্ধু কমিশন এবং পরে ড. নূরুন্নবীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা হয়েই ঢাকায় যেয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। কমপক্ষে ২ বার তার নামে তদন্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে অনলাইনে পে-পল একাউন্ট খুলে চাঁদাবাজী করার জন্য। তাকে সবাই ফাউল, প্রতারক বা ভন্ড বলে জানে। জো-বাইডেনের মামলার সংবাদ নিয়ে ৭১ টিভি চ্যানেলে টক শো হতে দেখে অনেক হাসলাম। ৭১ টিভিও বুঝতে পারল না বা সত্যতা যাচাই করল না! কারো অভিযোগ পত্রাকারে নথিভুক্ত হলেই তা মামলা হয় না। সবার উচিত ছিলো ডকুমেন্টগুলোর তদন্ত করে আদালতের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া। এখানে বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটও সত্যতা যাচাই করতে পারতো। এই পাগলকে বিশ্বাস করে সবাই মিলে পাগলামীটা করার আগে ভাবা উচিত আসলে বিষয়টার সত্যতা কতটুকু?

নিউ ইয়র্ক প্রবাসী মোহাম্মদ এম রাশেদ তার স্টাটাসে লিখেছেন-রাব্বি আলম এক শ্রীলঙ্কানের (বাংলাদেশী কমিউনিটির কেউ উনাকে আর বাসা ভাড়া দিবে না) বেইজমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন ২০২০ সালে, অ্যাডভান্সড ছাড়া আর কোন টাকা দেন নাই। দুই বছর ছিলেন, ইউএস মার্শাল ইভিকশন নোটিশ নিয়ে এসেআড-এ বের করে দেয়। কিছু দিন হোমলেস শেল্টারে থাকার পর আবার সম্ভবত এক আলবেনিয়ানের বেইজমেন্ট ভাড়া নেন। উনার কোন রেকর্ড নাই এডভান্স ছাড়া আর এক টাকা বাসা ভাড়া দেয়ার। আস্ত বাটপার। উনি কোথাও কাজ করতে পারেন না, কারন উনার গিলটি প্লি আছে টাকো বেলে কাজ করার সময় ক্যাশ রেজিস্টার থেকে টাকা চুরির জন্য। এটা ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে উঠে আসে, প্লাস ৫টির বেশি এভিকশন আছে। কোর্ট সার্টিফাইড ব্যাংকারাপসি ২টা। ব্যাপক কামেল ব্যক্তি তিনি।

আরিয়ান শিকদার জানান, ইলিয়াস কনকের চুল ছিঁড়তে পারে নাই সেই করেছে বাইডেনের নামে মামলা! অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ, সামাজিক অবস্থান-সম্মান বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অসাংবিধানিক ও অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আরোপ ও প্রত্যাহার চেয়ে অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলায় সেক্রেটারি অব স্টেইট এন্টনী ব্লিনকেনকেও বিবাদী করা হয়েছে।

মজার ব্যাপার মামলার বাদী রাব্বী আলমে বিরুদ্ধে কতটা মামলা আছে তা কি কেউ জানেন! তিনি মিশিগানের বিভিন্ন বাসায় থেকে বাড়ি ভাড়া না দিয়ে বাড়ি ওয়ালাদের হুমকি ধমকি দিয়ে নিত্য বাড়ি বদল করা মানুষ।থাকেন মাটির তলায় বেসমেন্টে। বেকার। তার আয় রুজী হল জয় বাংলা শ্লোগান দেয়া। তিনি সবসময়ই আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে হাইলাইটেড হতে বিভিন্ন রকম হাস্যকর কাজ করে থাকেন। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন এই দেশে কি সাচ্চা আওয়ামী লীগার কম আছে? তাহলে রাব্বী আলম কেন মামলা করলেন! আসলে আমেরিকার মাটিতে হাসিনা সরকারের বেহাল দশা দেখে ‘নৌকা আছে’ বলে রাব্বী আলমকে দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে কিছু পুরনো খেলোয়াড়। হাহা ফানি

আপনাদের মনে থাকবার কথা এর আগে তিনি সাংবাদিক ইলিয়াস ও কনক সারোয়ার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এক দুই টাকার না ৫০০ মিলিয়নের। সেই মামলার কি অবস্থা? তিনি বা তার জয় বাংলার অনুসারী কেউ কি কিছু বলতে পারবেন মামলাটির বর্তমান অবস্থা কি ? কিছু বলতে পারবেন না। কারন তখন কোন মামলাই হয়নি। তিনি ওদের নামে একটি কমপ্লেন লিখে আদালতে নথিভুক্ত করিয়েছেন। নিম্ন আদালত সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে যে কোনো চিঠিপত্র নিয়ে গেলে তারা তা সরকারী রেজিস্ট্রারে সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে নির্দিষ্ট বক্সে জমা দিতে বলে। তিনি তাই করেছেন। আর সেই সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে তিনি মানুষকে বুঝিয়েছেন তিনি ইলিয়াস কনকের নামে মামলা দায়ের করেছেন। আসলে তিনি ঘোড়ার ডিম করেছেন। এদেশে কারো নামে মামলা করা এত সহজ না। মামলা করতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হয়। রাব্বী আলমের চোদ্দ গুষ্টির সেই ফি জমা দেয়ার ক্ষমতা নেই। হ্যাঁ ক্ষমতা আছে কিছু দালাল সাংবাদিক পালার । সেটা তিনি করেছেন।

যে লোক ইলিয়াস ও কনকের একটা চুল ছেড়ার ক্ষমতা রাখে না, যে লোকের নামে বাড়ি ভাড়া না দেয়ার অসংখ্য অভিযোগ সেই ভাঁড় করেছে জো বাইডেনের নামে মামলা। হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না । এই রাব্বী আলম সব সময় নিজে একটি মাইক সহ সাউন্ড বক্স নিয়ে চলাচল করেন। কোন অনুষ্ঠান হতে দেখলেই সেখানেই ঢুকে পরে জয় বাংলার শ্লোগান দিতে শুরু করে । হোক তা মিলাদ মাহফিল হোক কারো জানাযা , কিম্বা কারো বিয়ে । পরে অবশ্য ঠেলা ধাক্কা খেয়ে বের হতে হয় । কিন্তু এর মধ্যে তিনি কিছু ছবি তুলে নিয়ে তার স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। এসবের কারনে এলাকায় তাকে নিয়ে নানান রকম হাসি তামাশা প্রচলিত আছে । আমরার সিলেটিরা তাকে মাইক অলা বেটা বলে চেনে। কেউরে জিগ্গেস করলে বলে -‘ঐ মাইকঅলা বেটা নি! সে মুলত একজন প্রচার প্রিয় মানুষ। ফাউল ।

কয়েকদিন এ সংবাদ নিয়ে ৭১ টিভি চ্যানেলে টক শো হতে দেখে অনেক হাসলাম। ৭১ টিভি ও বুঝতে পারল না বা সত্যতা যাচাই করল না! কারো অভিযোগ পত্রাকারে নথি ভুক্ত হলেই তা মামলা হয় না। যাই হোক আমি বলব এই লোক সাকসেসফুল। যা সে চেয়েছিল তাই হয়েছে। তিনি অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন কোন একটা কিছু করে শেখ হাসিনার নেক নজরে আসা। এবার সহজেই তা পারবেন। ছাল নাই কুত্তার বাঘা কাম। হাউ ফানি।

নিউ ইয়র্ক প্রবাসী রওশন হক জানান, এটা একদমই হাস্যকর একটা বিষয়। যিনি করেছেন মামলার বাদী রাব্বি আলম তিনি বাড়ি ভাডা না দিয়ে বছরের পর বছর ভাড়া থাকা এবং সেভেন ইলেভেনে কাজ করবার সময়ে ক্যাশ থেকে অর্থ চুরিসহ নানান রকম অভিযোগ রয়েছে। এলাকার মানুষ তাকে ফাউল বাটপার নামে চেনে। ইলিয়াস কনকের নামে মামলার পর আমি তার সাথে কথা বলেছিলাম তিনি এসবের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তাছাড়াও মিশিগানের মানুষের সাথেও আমার কথা হয়েছে। তারা জানান। তার নামে শুধু বাড়ি ভাড়া না দিয়ে থাকা নয় কাজ করতে যেয়ে টাকা চুরিসহ ডজন খানেক মামলার হদিস মিলছে।

আদালতে দায়ের করা অভিযোগ প্রসেঙ্গে রাব্বি আলমকে তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিলে কিন্তু তিনি একটিরও উত্তর কিংবা তার মতামত প্রদান করেননি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলে মার্কিন ভিসানীতির প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে আপনি একটি অভিযোগ করেছেন। এ্রর মূল উদ্দেশ্য কি? এ অভিযোগ কতটুকু যুক্তিযুক্ত বলে আপনি মনে করেন। আপনার আগের আলজাজিরার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অগ্রগতি কি? বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কি তুলে নিয়েছেন? কেন? আপনার মতামত জরুরি প্রয়োজন। এসব প্রশ্নের বিষয়ে তিনি তার কোন মতামত জানাননি।